বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ঢাকা

‘দুই বন্ধু খাবারের সন্ধানে আধাঘণ্টা ঘুরলাম’

মো. আব্দুস সবুর (লোটাস)
প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২৫, ০২:৪০ পিএম

শেয়ার করুন:

hotel
বন্ধ রয়েছে রাজধানীর বেশির ভাগ হোটেল-রেস্তোরাঁ। ছবি: ঢাকা মেইল

‘ঈদের ছুটিতে খালা (কাজের বুয়া) গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন। এলাকার রাস্তায় পরিচিত দু-তিনটা হোটেলের সামনে গিয়ে দেখলাম বন্ধ। বাধ্য হয়ে পল্টন মোড়ে আসলাম। এখানেও ভালো হোটেল বন্ধ। দুই বন্ধু মিলে দুপুরের খাবারের জন্য আধা ঘণ্টা ধরে ঘুরছি। কিন্তু খাবার হোটেল পাচ্ছি না।’

কথাগুলো বলছিলেন সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী মিনহাজুল ইসলাম। তিনি এবং তার বন্ধু রায়হান আলী বুধবার (১১ জুন) দুপুরের খাবার খেতে বের হয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


শুধু তারাই নন, রাজধানীজুড়ে হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় খাবারের ভোগান্তিতে পড়েছেন ব্যাচেলর ও ভাসমান মানুষেরা।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার পাশের ছোট খাবারের দোকান থেকে ভালো রেস্তোরাঁও বন্ধ রয়েছে। আগামী শনিবারের আগে হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন

চিরচেনা রূপে ফেরেনি ঢাকা, কমেছে সবজির দাম

সরেজমিনে দেখা যায়, কোনো কোনো হোটেল খোলা থাকলেও চলছে সংস্কার ও নতুন ডেকোরেশনের কাজ। বেশির ভাগ খাবারের হোটেল রান্না বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন পরিবার থেকে বাইরে থাকা বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। বিশেষ করে খাবারের কষ্টে আছেন মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার, রিকশাচালক, মেচ-হোস্টেলে থাকা ব্যাচেলর, দিনমজুর, শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা।


বিজ্ঞাপন


ধানমন্ডি, পল্টন, সেগুনবাগিচা, কাকরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় মুদি ও চায়ের দোকান খোলা থাকলেও বন্ধ রয়েছে ভাতের হোটেল ও রেস্তোরাঁ। ফলে ঢাকাতে কাজে আসা লোকজন এবং যাদের বাসায় রান্নার ব্যবস্থা নেই তারা পড়েছেন খাবার সংকটে।

Food2
ফুটপাতের কিছু রেস্তোরাঁ খোলা থাকলেও পরিবেশ ভালো নয়। ছবি: ঢাকা মেইল

মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘চাকরির প্রস্তুতি নিতে এবার বাড়ি যাওয়া হয়নি। মেসে নিয়মিত খালা রান্না করলেও ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি গেছেন। ফলে ঈদের দুদিন আগে থেকে খাবার কষ্টে আছি। পরিচির বেশির ভাগ হোটেল বন্ধ, তাই বাধ্য হয়ে দূরে গিয়ে খেতে হচ্ছে।’ এতে রিকশা ভাড়া ও খাবারের জন্য অতিরিক্ত টাকাও ব্যয় হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন

অপ্রীতিকর ঘটনামুক্ত এবারের ঈদ, স্বস্তি রাজধানীবাসীর

কাকরাইল এলাকায় একজন রিকশা চালকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি তিন বেলা ভাত খাওয়া মানুষ। পায়ে প্যাডেল করা রিকশা চালান লাগে। কাড়ি কাড়ি শক্তির দরকার। আশপাশ দিয়ে ভাত খাওয়ার হোটেল পাইলাম না। কোথাও ভাত পেলেই খেয়ে নেব।’

সেগুনবাগিচা রোডের হোটেল মালিক আকবর আলী ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘হোটেলের কর্মীরা সারা বছর অন্যদের খাওয়ায়, তাই ঈদের সময় তাদের ছুটি দেওয়া হয়। এই সময়ে হোটেলের বিভিন্ন সংস্কারের কাজ করা হয়। শুধু আমি নই, বেশির ভাগ হোটেল মালিক এমন করে।’

এএসএল/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর