এবারের হজে যেতে আগ্রহীদের জন্য এখনো মক্কা ও মদিনায় ২০টি এজেন্সি বাড়ি ভাড়ার কাজ শেষ করেনি। ফলে হজের সময় সমস্যায় পড়তে পারেন বাড়িভাড়ার কাজ শেষ না হওয়ায় ১৩৫৮ জনের হজ যাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় সোমবারের (১৪ এপ্রিল) মধ্যে জড়িত ২০ এজেন্সি বাড়ি ভাড়ার কাজ শেষ না করতে পারলে লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়, রোববার (১৩ এপ্রিল) পর্যন্ত মক্কায় ১২৬৫ জন ও মদিনায় ৯৩ জনের বাড়ি ভাড়া না করার কারণ ব্যাখ্যাসহ সোমবার রাত ৮টার মধ্যে বাড়িভাড়ার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ করতে হবে।
মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, এবার হজে ৭০টি লিড এজেন্সির অধীনে আরও ৬৮-৩টি এজেন্সি হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের রোডম্যাপ অনুসারে প্রথমে গত ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সকল সেবা চুক্তি সম্পন্ন করার সময় নির্ধারিত ছিল। সৌদি সরকার পরবর্তীতে পরিবহন চুক্তি এবং হজযাত্রীদের জন্য মক্কা ও মদিনায় বাড়ি/হোটেল ভাড়া করার জন্য ২৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বর্ধিত করে। ওই সময়ের মধ্যে যে সকল এজেন্সি পরিবহন চুক্তি এবং হজযাত্রীদের জন্য মক্কা ও মদিনায় বাড়ি/হোটেল ভাড়া সম্পন্ন করতে পারেনি তাদের জন্য আরও ১০ দিন অর্থাৎ ৩ এপ্রিল তারিখের মধ্যে চুক্তিসমূহ সম্পাদনের সময় বৃদ্ধি করে তবে সৌদি সরকার।
এদিকে রোববার (১৩ এপ্রিল) তাসরিয়া প্রাপ্ত বাড়ি ভাড়ার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে এখন সর্বশেষ সুযোগ হিসেবে মক্কা ও মদিনায় তাসনিফ প্রাপ্ত অর্থাৎ শুধু হোটেল ভাড়া নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এটিও যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এমন অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সকল এজেন্সি/লিড এজেন্সিকে নিয়ে বারবার বৈঠক করে, চিঠি দিয়ে, মোবাইলে মেসেজ দেওয়ার পরও ২০টি লিড এজেন্সি মক্কায় ১২৬৫ জন ও মদিনায় ৯৩ জনের বাড়ি ভাড়া সম্পন্ন করেনি। এর ফলে উক্ত এজেন্সির মাধ্যমে নিবন্ধিত উল্লেখিত হজযাত্রীদের হজে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এজেন্সির অবহেলার কারণে কোন হজযাত্রী হজে যেতে না পারলে তাতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্টরা সোমবার রাত আটটার মধ্যে বাড়িভাড়াসহ যাবতীয় কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হলে তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিইউ/এএস