এবারের ঈদুল ফিতরে টানা নয় দিনের ছুটি পান কর্মজীবী মানুষেরা। লম্বা এই ছুটিতে এবার মনভরে ঈদ উদযাপন করতে পেরেছেন দেশবাসী। ঈদের এই ছুটি শেষ পর্যায়ে। আগামীকাল শনিবারই শেষ হচ্ছে ঈদের ছুটি। তবে ছুটির এই শেষ পর্যায়েও রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। বিভিন্ন পার্ক, উদ্যান, লেক ও গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থানগুলোতে আনন্দঘন সময় পার করছেন নগরবাসী।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি বিনোদনকেন্দ্র ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, ধানমন্ডি লেক, রবীন্দ্র সরোবর ও রমনা পার্কে ঘুরতে এসেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শিশু থেকে বৃদ্ধ বিভিন্ন বয়সের অসংখ্য মানুষ তাদের পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। কেউ গাছের ছায়ায় বসে মেতেছেন আড্ডায়, কেউ তুলছেন স্বজনদের সঙ্গে সেলফি, কেউবা ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রাকৃতিক পরিবেশে, কেউবা শিশুদের আবদারে চড়ছেন প্যাডেল চালিত নৌকায়।
এছাড়া রমনার শিশু পার্কে রয়েছে শিশুদের ব্যাপক কোলাহল এবং তারা নিজেদের মতো করে আনন্দে মেতে উঠেছে। আবার কেউ দৌড়াদৌড়ি কিংবা লাফালাফি করছে।
রামপুরা থেকে রমনা পার্কে ঘুরতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী ফয়সাল আহমেদ। তিনি প্রায় ২০ মিনিট ধরে প্যাডেলচালিত নৌকার জন্য অপেক্ষা করছেন।
বিজ্ঞাপন
জানতে চাইলে ফয়সাল আহমেদ বলেন, পরিবার নিয়ে রমনায় ঘুরতে এসেছি। রমনায় আসার পর বাচ্চা নৌকা দেখে চড়তে চাচ্ছে। বাচ্চা ইচ্ছাটা পূরণ করতে চাই। বেশ সময় ধরে অপেক্ষা করছি। আশা করি, অল্প সময়ের মধ্যে নৌকা পাবো।

ধানমন্ডি ঘুরতে আসা দর্শনার্থী ইসমাঈল হোসেন বলেন, ঈদের ছুটি কাটাচ্ছি। আগামীকাল থেকে নিয়মিত অফিস করতে হবে। পরিবার নিয়ে সময় কাটানোর সুযোগ কমই পাওয়া যাবে। তাই পরিবার নিয়ে এখন ঘুরতে এসেছি। আর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকায় ঘুরে বেড়ানোর জন্য এমন সবুজবেষ্টিত জায়গা কমই আছে। রমনা পার্কে ঘুরতে এলেই প্রকৃতির সান্নিধ্য পাওয়া যায়। বাচ্চারাও সাথে এসেছে। বাচ্চারা বেশ আনন্দে সময় কাটাচ্ছে। দৌড়াদৌড়ি, হই-হুল্লোড় করছে। সবাই বেশ আনন্দে সময় কাটাচ্ছে।
জানা গেছে, দুপুর থেকে ধানমন্ডি লেক ও রমনা পার্কে বাড়তে থাকে লোক সমাগম। ঈদের সময়ে লোক সমাগম বেড়ে দাঁড়ায় কয়েক গুণ। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত বিনোদন ও নিজেদের মতো করে আড্ডা দিতে ছুটে আসেন নগরবাসী।
এদিকে রাজধানীর জাতীয় চিড়িয়াখানাসহ বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রেও উপচেপড়া ভিড়ের খবর পাওয়া গেছে। আগামীকাল ছুটির শেষ দিন পর্যন্ত এই ভিড় থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রোববার থেকে নগরী আবার চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসএইচ/জেবি