ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ। তবে ভিড় বাড়লেও ঈদ যাত্রার পঞ্চম দিনেও অনেকটা নির্বিঘ্নেই ঢাকা ছাড়ছেন নগরবাসী। এতে করে সড়ক ও রেলপথে যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করছেন।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) ঈদযাত্রার পঞ্চম দিন রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন ও সায়দাবাদে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
এবারের ঈদে টানা ৯ দিনের ছুটি শুরু হয়েছে আজ। যদিও লম্বা ছুটি এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় যাত্রীরা বাড়তি দুর্ভোগ ছাড়াই ছুটে যাচ্ছেন আপনজনের কাছে। বাস, ট্রেন ও লঞ্চ সব স্থানেই যাত্রীর চাপ থাকলেও ভোগান্তি নেই।
ঈদযাত্রার পঞ্চম দিনে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে সড়ক ও রেলপথে। যদিও বেশ নির্বিঘ্নেই ঢাকা ছাড়ছেন নগরবাসী। টিকিট ছাড়া প্লাটফর্মে প্রবেশ অধিকার না থাকায় এবারের রেলপথে ভোগান্তি কম বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সড়কপথের যাত্রী সাধারণের মধ্যেও রয়েছে স্বস্তির ছাপ।
সকাল থেকে নিয়ম মেনে কমলাপুর রেলস্টেশন ছাড়ছে প্রতিটি ট্রেন। এদিকে বাড়তি চাপ সামাল দিতে আজ থেকেই চালু করা হয়েছে পাঁচ জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন। এর বাইরেও রেলের আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বাড়তি ৪৪টি নতুন কোচ।
যাত্রী ভোগান্তি কমাতে টিকিট ছাড়া প্লাটফর্মে প্রবেশ এবং ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ ঠেকাতে কমলাপুরের পাশাপাশি জয়দেবপুর ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনেও তৎপর রয়েছে প্রশাসন।
আখাউড়াগামী ট্রেনের যাত্রী রাহাত বলেন, প্রতিবছর ঈদের তুলনায় এবার ঈদে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম মনে হচ্ছে। এখন সামনের স্টেশনগুলোতে যাত্রী উঠলে বোঝা যাবে। তবে এবার ট্রেনের ছাদে এবং ভিতরে গাদাগাদি করে যেতে হচ্ছে না।
বিজ্ঞাপন
রাজশাহীগামী ট্রেনের যাত্রী শফিকুল বলেন, তিন থেকে চারদিন ট্রেনের টিকিটের জন্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু টিকিট কাটা সম্ভব হয়নি। এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা কমলাপুর এসেছি। এখান থেকে রাজশাহী যাব। ঈদের সময় কষ্ট হলেও যেতে হবে।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন বলেন, অধিকাংশ ট্রেন সময়মতো কমলাপুর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছেড়ে যাচ্ছে। তবে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সোয়া এক ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে। মূলত ঢাকায় ফিরতে দেরি হওয়ায় সামান্য এই বিলম্ব হচ্ছে। তবে ঢাকা থেকে দ্রুত ছেড়ে দিচ্ছি।
অন্যদিকে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস কাউন্টারে সকালে যাত্রীদের উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের উপস্থিতি কিছুটা বাড়তে থাকে। বাসে বাড়ি ফিরতে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি এমন অনেক যাত্রীও ছিল। তবে পূর্বের টিকেট কাটতে পারেনি এমন যাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত বাস ছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রাজধানীর সায়েদাবাদে বাসচালক নজরুলের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, যাত্রীর স্বাভাবিক চাপ রয়েছে। তবে অগ্রিম টিকিট কাটা যাত্রী আসা মাত্রই নির্দিষ্ট সময়ে গাড়িগুলো ছেড়ে যাচ্ছে।
এমই/এফএ