ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটি শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে নাড়ীর টানে বাড়ি চলে গেছেন বেশিরভাগ মানুষ। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারও (২৮ মার্চ) অনেকে সকাল থেকে বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন। ফলে ঢাকার চিরচেনা যানজটে ঠাসা সড়কগুলোতে মানুষের চাপ নেই। অনেকটা ফাঁকা সড়কে নির্বিঘ্নে ছুটছে যানবাহন। তবে বাসস্ট্যান্ড ও মার্কেটগুলোর আশপাশের সড়কে যানজট আছে।
চাঁদ দেখাসাপেক্ষে ৩১ মার্চ সোমবার ঈদুল ফিতর হতে পারে। সে হিসেবে বৃহস্পতিবার ছিল ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস। ইতোমধ্যে গার্মেন্টসগুলোতে ছুটি শুরু হয়েছে। যে কারণে গতকাল বিকেলে অফিস-আদালত ছুটির পরে বেশিরভাগ মানুষ রাজধানীর বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও লঞ্চঘাট দিয়ে বাড়ির পথে পা বাড়িয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার দুপুরের দিকে দেখা গেছে, সদরঘাট এলাকায় আগের মতো যাত্রী চাপ না থাকলেও অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘাটে যাচ্ছেন। ফুলবাড়িয়া, গুলিস্তান এলাকা থেকে বিভিন্ন রুটে বাসে করে মানুষ ঢাকা ছাড়ছেন। তবে বৃহস্পতিবারের তুলনায় চাপ কম লক্ষ্য করা গেছে।
যদিও ফুটপাত থেকে শুরু করে মূল সড়কে দোকানিরা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসার কারণে সবসময় এই এলাকায় যানজট থাকে। ঈদের সময় বিভিন্ন রুটের শত শত বাস এই এলাকা দিয়ে ছাড়ার কারণে পল্টন-কাকরাইল-বিজয়নগর-শান্তিনগর-শাহবাগের দিকের সড়ক ফাঁকা থাকলেও জিরো পয়েন্ট, গুলিস্তানে যানজটে বসে থাকতে হচ্ছে নাগরিকদের।
এদিকে সারা বছর চাপ থাকলেও ঈদের সময়ে লঞ্চে যাত্রী বেশি থাকে। যে কারণে লঞ্চের সংখ্যাও বাড়ানো হয়। তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ঢাকা নদী বন্দরে বিভিন্ন রুট থেকে ৭২টি লঞ্চ ঘাটে পৌঁছেছে। আর ৮৪টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
স্বাভাবিক সময়ে ঢাকা নদীবন্দর থেকে প্রতিদিন ৬০-৬২টি লঞ্চ আগমন ও নির্গমন করে থাকে বলে জানা গেছে।
যাত্রী ও পরিবহন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এবার ঈদে ৯ দিনের লম্বা ছুটি পাওয়ায় যাত্রীরা তুলনামূলক স্বস্তিতে ঢাকা ছাড়তে পারছেন। অন্যদিকে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় নেই, যে কারণে যাত্রীরা সময়মতো গন্তব্যে যেতে পারছেন।
সকাল থেকে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা নিউমার্কেট-এলিফ্যান্ট রোডে অন্যদিনের মতো যানজট দেখা যায়নি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চাপ বেড়েছে এই এলাকায়। মাঝে মাঝে সিগন্যালের কারণে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, পবিত্র ঈদুল ফিতরে এবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ঘোষিত লম্বা ছুটি আরও লম্বা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে আগেই পাঁচ দিন টানা ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। পরে নির্বাহী আদেশে আরও এক দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়। ৩ এপ্রিলও ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ায় এবার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি পেয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিইউ/জেবি