জুলাই-২৪ গণহত্যার দ্রুত বিচার ও আওয়ামী লীগ দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে শহীদ পরিবারের সদস্যরা। সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়েজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
কর্মসূচিতে শহীদ সজলের মা বলেন, আজ যারা ক্ষমতায় তাদের পরিবারের কেউ শহীদ হয়েছে কিনা জানি না। তবে পরিবারের কাউকে না হারালে বুঝতে পারবে না এটার যন্ত্রণা কেমন? শহীদের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতায় গিয়ে কেনো তারা গণহত্যার বিচারের দেরি করছে সেটা বুঝছি না। আবার আরেক পক্ষ নাকি এই হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার পক্ষে কাজ করছে। এসব শোনার আগে আমার নিজের মৃত্যু চাই। ছেলে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে প্রয়োজনে আমিও দেব তাও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাই।
বিজ্ঞাপন
শহীদ সিফাতের বাবা বলেন, আমার ছেলে আমার সামনেই মিরপুর-১০ এ মারা যায়। তখন ছেলের জন্য পানি নিয়ে আসার মতো অবস্থা ছিল না। আমার মতো হাজার শহীদের বিনিময়ে যারা ক্ষমতায় বসে বিলাসী জীবনযাপন করছে তাদের ধিক্কার জানাই। আগে আমার সন্তান হারানোর বিচার চাই।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ বাহিনী সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী মেরেছে। গত ৮ মাসেও কেনো পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। বিচার কাজ যারা বিলম্বিত করছে তারাও স্বৈরাচারের দোসর। আমরা আর বাংলাদেশে কোনো স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদের দেখতে চাই না। সবাইকে দ্রুত শাস্তির মুখোমুখি দেখতে চাই।
শহীদ শাফিকউদ্দিন আহনাফের মা বলেন, আমার ছেলে বিএফ শাহীন কলেজের ছাত্র ছিল। কলেজ থেকে নিয়মিত আন্দোলন করেছে। শুরুতে জানতে পারিনি। জানার পরও আর আন্দোলনে যেতে নিষেধ করতে পারিনি। কারণ আমরা সবাই দেশের স্বৈরাচারের পতন চেয়েছিলাম। যা চেয়েছিলাম সেটাই হয়েছে কিন্তু আন্দোলন পরবর্তী একটা স্বপ্নের বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আন্দোলনের পরের বাংলাদেশ দেখে কষ্ট হয়। নতুন বাংলাদেশে এখনও আমার ছেলে হারানোর বিচার পাচ্ছি না।
জুলাই-২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটির আয়োজনে কর্মসূচিতে প্রায় ৫০ শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এএসএল/এফএ