আজ ১৪ ডিসেম্বর। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দিনটিকে কেমনভাবে দেখেন? জানতে চাইলে জবাব ছিল, আজ সরকারি ছুটির দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদার বাহিনী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মেরে ফেলেছে। দিনটা কষ্টের।
এভাবে ১৪ ডিসেম্বর সম্পর্কে নিজের অনুভূতি জানাচ্ছিলেন রিকশাচালক ফয়সাল। ফয়সালের গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলায়। ঢাকার মগবাজারে ২০ বছর ধরে রিকশা চালান তিনি। প্রতিদিন যা আয় করেন তার সিংহভাগ বাড়িতে পাঠান। যা বাকি থাকে তা দিয়ে ঢাকায় থাকা-খাওয়া সারেন।
বিজ্ঞাপন
ফয়সাল বেশিদূর পড়ালেখা করেননি কিন্তু ১৬ ডিসেম্বর এবং ১৪ ডিসেম্বর সম্পর্কে তিনি জানেন বলে দাবি করেন। ফয়সাল বলছিলেন, তারা আমাদের শেষ করে দেওয়ার জন্য আমাদের বুদ্ধিজীবীদের মেরে ফেলেছে। আমরা যাতে দাঁড়াইতে না পারি।
ফয়সালের মতে, শাসকদের কিছু হয় না। কিন্তু ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য তারা জনগণের উপর গুলি ছোড়ে। জনগণকে হত্যা করে।
রিকশাচালক ফয়সালের ভাবনাগুলো এমন হলেও চা দোকানী রিয়াজুলের ভাবনা ভিন্নরকম। চা দোকানী রিয়াজুল মনে করেন, দেশীয় দোসররা পাকিস্তানি সেনাদের দিয়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। কিন্তু এ জাতিকে শেষ করে দিতে পারে নাই। এ জাতি উঠে দাঁড়িয়েছে।
অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার বুদ্ধিজীবী দিবস পালনের বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, দেশ তো সবেমাত্র স্বাধীন হলো। এখনো মানুষজন অনেক কিছু বুঝে উঠতে পারেনি। সামনে আরো ভালোভাবে পালিত হবে বলে তার বিশ্বাস।
বিজ্ঞাপন
কলেজ ছাত্র শিহাব জানান, তারা জীবন না দিলে আজকের বাংলাদেশ আমরা পেতাম না। তবে অন্য বছরগুলোতে যেভাবে দিবসটি পালিত হতো এবার একটু ভিন্ন আমেজ তিনিও লক্ষ্য করছেন অন্যদের মতো। তার মতে, ফ্যাসিস্ট সরকার যেভাবে দিবসটি পালন করেছে তার চেয়ে আরো উৎসব মুখরভাবে পালন করে ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর নির্মমতা তুলে ধরাও সময়ের দাবি।
এমআইকে/এফএ