বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

মাদক অধিদফতরে বহাল ‘আওয়ামী চক্র’, পদোন্নতি পেতে মরিয়া

মোস্তফা ইমরুল কায়েস
প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে ‘আওয়ামী চক্রের’ কয়েকজন। ছবি: সংগৃহীত
  • সাবেক ছাত্রলীগ ও ক্ষমতাশালীদের সুপারিশে নিয়োগ
  • বিধি ভেঙে তিন বছরের আগেই পদোন্নতির তদবির
  • সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিএসের ভাইকে পদোন্নতি দিতে বিধি ভঙ্গ
  • মাদক চুরির আসামিও পদোন্নতি পেতে মরিয়া

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব জায়গায় পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগলেও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে তা লাগেনি। ফলে ফ্যাসিস্ট খ্যাতি পাওয়া সেই সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা নানা সুযোগ-সুবিধা নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে সাবেক ছাত্রলীগ ও দুর্নীতিবাজ অফিসার যারা সহকারী প্রসিকিউটর (এপি) পদে কর্মরত, তারা পদোন্নতি নিতে মাঠে আদা জল খেয়ে নেমেছেন। অথচ তাদের নিয়োগ নিয়ে স্বজনপ্রীতি, ঘুষ, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। বিতর্কিত সহকারী প্রসিকিউটরা তিন বছর চাকরির বয়স হওয়ার আগেই পদোন্নতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে তদবির চালাচ্ছেন। তাদের নিয়োগ কীভাবে হয়েছে, কাদের কী পরিচয় এবং হঠাৎ করে তারা পদোন্নতি নিতে এত সক্রিয় কেন, এসব বিষয়ে জোরালো তদন্ত হওয়া দরকার বলে মনে করছেন দফতরটির সংশ্লিষ্টরা।


বিজ্ঞাপন


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব সক্রিয় ব্যক্তির বেশির ভাগ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সমর্থক, কর্মী ও নেতা ছিলেন। তারা কেউ কেউ আওয়ামী লীগ নেতাদের আত্মীয়-স্বজনও। আবার কারও কারও বিরুদ্ধে চাকরিরত অবস্থায় মাদক নিয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিদের ফাঁসানো, ঘুষ আদায় ও নানা অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার প্রমাণও রয়েছে।

তিন বছর না হতেই পদোন্নতির দৌড়ঝাঁপ!

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী, উপ-পরিচালক পদে ৭ বছর, সহকারী পরিচালক পদে ৪ বছর থেকে ৫ বছর, প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে ৪-৭-১০ বছর, উপ-পরিদর্শক পদে ৪ বছর থেকে ৮ বছর, সহকারী উপ-পরিদর্শক পদে ৫ বছর থেকে ৮ বছর ও পরিদর্শক পদে ৫ পর পদোন্নতির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু একমাত্র সহকারী প্রসিকিউটর (এপি) পদে চার বছর থাকলেও সেটি কমিয়ে তিন বছর করা হয়েছে। এই পদটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সঙ্গত কারণে টেকনিক্যাল (আইন) করা হলেও এই পদধারীরা আইনের বাইরে ভিন্ন বিষয় থেকে আসা। যা কাজের ধরনের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। এই পদে মাত্র তিন বছরে পদোন্নতির সুবিধাটি রাজনৈতিক প্রভাবে করা হয়েছে বলেও অভিযোগ আছে।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, পদোন্নতি পেতে মরিয়া হয়ে ওঠা এই চক্রটিতে ২২ জন আছেন। তাদের সবার গত জুলাই মাসে চাকরির মেয়াদ তিন বছর হয়েছে। তিন বছর হওয়ার সাথে সাথে তারা এসিআর সংগ্রহ করে ফাইল সংশ্লিষ্ট অধিদফতরে পাঠিয়েছেন। অথচ এটি হওয়ার কথা ছিল চলতি ডিসেম্বরে। সময়ের আগেই তারা পদোন্নতি পাওয়ার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এসব কর্মকর্তার অস্বাভাবিক দৌড়ঝাঁপে সংশ্লিষ্ট দফতরে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

পদোন্নতি চান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও দুর্নীতিবাজরাও

সহকারী প্রসিকিউটর পদে যারা পদোন্নতি নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাদের বেশির ভাগই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও দুর্নীতিবাজ। কারও বিরুদ্ধে মাদক লুকিয়ে রাখা, টাকা নিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অনিয়ম করে নিয়োগ পাওয়া এসব সহকারী প্রসিকিউটরের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ নেতাদের আত্মীয়-স্বজন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মৌলভীবাজারের সহকারী প্রসিকিউটর এস এম শোয়েব রহমান বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের পদধারী ছিলেন। তার মামা চট্টগ্রামের ডিআইজি ছিলেন। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অভিযানে উদ্ধারকৃত মাদক আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

কুমিল্লার সহকারী প্রসিকিউটর মো. মাসউদ হোসেন প্রভাবশালী ইন্সপেক্টর শামসুল কবিরের শ্যালিকার ছেলে। তিনি পড়াশোনা করেছেন নটরডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ থেকে।

নাটোরের সহকারী প্রসিকিউটর মো. আব্দুল করিম আকাশ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপুর ছোট ভাই। তিনি একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োকেমিস্ট্রিতে পাস করেছেন।

ঢাকার এপি ফাহমিদার দুলাভাই নোয়াখালীর সাবেক এডি। ঢাকায় কর্মরত ইন্সপেক্টর উম্মে কুলসুমের স্বামী বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকার সাবেক ডিআইজি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এপি ইভান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পদধারী। তিনি আবার আলামত ধ্বংসের সময় ইয়াবা চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন।

মো. ইমতিয়াজ উদ্দিন চৌধুরীর নিজ জেলা চট্টগ্রাম। পোস্টিং কক্সবাজারে। তিনি চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের ছাত্র। ইমতিয়াজ চাকরি পেয়েছেন শেখ হাসিনার বেয়াই ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সুপারিশে।

মো. মামুনুজ্জামানের নিজ জেলা ঢাকা। তিনি সহকারী প্রসিকিউটর পদে মুন্সিগঞ্জে কর্মরত আছেন। মামুনুজ্জামান ইউআইইউ থেকে অ্যাকাউন্টিংয়ে পড়াশোনা করেছেন।

মো. নাজমুস সাকিব মুন চাঁপাইনবাবগঞ্জের এপি (সহকারী প্রসিকিউটর) হিসেবে কর্মরত। তিনি ঢাকার তেজগাঁও কলেজে পড়াশোনা করেছেন। কলেজটির সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।

মুহাম্মদ মুসতা হাসান সহকারী প্রসিকিউটর পদে দিনাজপুরে কর্মরত। তিনি মাদক অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক আজিজুল ইসলামের নাতজামাই। হাসান ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (টেক্সটাইল) পড়াশোনা করেছেন।

আরও পড়ুন

ভারতীয় নাগরিক হয়েও কলেজ অধ্যক্ষ পদে বহাল!

গরিবের টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে বাঁচানোর পাঁয়তারা!

গাইবান্ধার সহকারী প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত আছেন আবু তালহা। তিনি বগুড়া ল কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।

মো. মেহেদী হাসান নরসিংদী জেলা সহকারী প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করেন। উৎকোচ দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। 

এভাবে কেউ ছাত্রলীগ আবার কেউ কেউ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার আত্মীয়-স্বজন পরিচয়ে চাকরি নিয়েছেন। তারা এখন দ্রুত পদোন্নতি নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

মন্ত্রীর পিএসের ভাইকে সুবিধা দিতে বিধি পরিবর্তন!

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিএসের ভাইকে সুবিধা দিতেই এই বিধি পরিবর্তন করা হয়। চার বছর কমিয়ে তা তিন বছর করা হয়েছে। যা জানিয়েছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তা। তারা বিষয়টি নিয়ে এতদিন কথা না বললেও এখন মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

Drug2

বিধি বলছে, একই পঞ্জিকা বছরের মধ্যে একই সাথে কোনো পদের চাকরি স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতির নজির নেই। তাছাড়া তিন বছরের এসিআর ছাড়াই দুই বছরের এসিআরের ভিত্তিতে বিশেষ বিবেচনায় এমন পদোন্নতি সন্দেহ তৈরি করে। বিতর্কিত নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বৈধতা দেওয়ার জন্য কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে এটা করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। যারা এই পদোন্নতির জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তাদের অধিকাংশের ব্যাপারে অনুসন্ধানে জানা গেছে, তারা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের  কোনো না কোনো কর্মকর্তার আত্মীয় বা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। কয়েকজনের বিরুদ্ধে অপকর্মের নজিরও রয়েছে।

মাদক লুকিয়ে ধরা পড়লেও শাস্তি হয়নি ইভানের

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী প্রসিকিউটর মাহমুদুল হাসান ইভান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পদধারী ছিলেন। তিনি তার আলামত ধ্বংসের সময় দুই হাজার পিস ইয়াবা চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ঊর্ধ্বতনকে ম্যানেজ করে মাত্র ছয় মাসের মাথায় আবারও কাজে যোগদান করেন।

আরও পড়ুন

কোম্পানি এমডির প্রতারণায় ফ্ল্যাটের স্বপ্ন ধূলিসাৎ ২০ প্রবাসীর!

এত অভিযোগ সত্ত্বেও বহাল ‘রেহানা-ঘনিষ্ঠ’ পাইলট ইশতিয়াক!

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইভান গত বছরের ২৪ আগস্ট মাদকদ্রব্যের মামলা আদালতে নিষ্পত্তি করার পর বিভিন্ন সময়েই আদালত চত্বরে মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার আয়োজন করা হয়। সেদিন আদালতের মালখানায় জমা থাকা ফেনসিডিল, স্কফ, বিয়ার, বিদেশি মদ ও ইয়াবা ধ্বংস করতে চত্বরে নিয়ে আসার সময় এক প্যাকেট ইয়াবা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী প্রসিকিউটর মাহমুদুল হাসান নিজ প্যান্টের পকেটে লুকিয়ে ফেলেন। তবে তার প্যান্টের পকেট উঁচু হয়ে থাকায় বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সন্দেহ হয়। ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের মাহমুদুল হাসানকে তল্লাশি করতে বলেন। তল্লাশি করে তার প্যান্টের পকেট থেকে এক হাজার ২২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন বিচার বিভাগের ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, এই ঘটনায় আদালতের মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সেই সহকারী প্রসিকিউটরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

সেই মামলায় তিনি মাত্র ছয় মাসের মাথায় বের হয়ে আবারও কাজে যোগদান করেন। তার বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। উল্টো চাকরিতে বহাল করা হয়েছে। মাহমুদুল হাসান ইভানের মামলার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে নেই। ফলে সিস্টেম করে মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়ে তিনি চাকরিতে যোগদান করেন বলেও জানা গেছে।

নানা অভিযোগেও কিছুই হয়নি ডিডি মিজানুরের!

ডিডি মিজানুর রহমান শরীফ। তিনি ৩০ বিসিএস ব্যাচ। এই শরীফের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজারে দায়িত্ব পালনকালে নানা অভিযোগ ওঠে। তিনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিতর্কিত উপপরিচালক (ডিডি)। গত ২১ নভেম্বর তাকে মৌলভীবাজার থেকে সাতক্ষীরায় বদলি করা হয়েছে।

জানা গেছে, মৌলভীবাজারে যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন এই কর্মকর্তা। তিনি সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি বাগানের পাট্টার বাংলা মদের লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীদের মাসিক চাঁদা দিতে বাধ্য করতেন। চাঁদা না দিলে বিভিন্নভাবে হয়রানি করারও অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে জেলার ২৩ জন পাট্টা ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্যের মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের কাছে তিনি মাসে ২০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দাবি করতেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন লাইসেন্সধারী পাট্টার ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়াও গত ২৯ মে জেলার কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের লংলা চা বাগানের লাইসেন্সধারী দেশীয় মদের দোকান (পাট্টায়) পরিদর্শনে গিয়ে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগে ডিডি মিজানুর রহমান শরীফসহ পাঁচজনকে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে বাগানবাসী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

আরও জানা গেছে, তাকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা রকমের অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে তার বিরুদ্ধে তদন্তসহ বিভাগীয় মামলা দায়ের করে অধিদফতর। সবশেষ ৪ নভেম্বর মামলার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব তাহনিয়া রহমান চৌধুরীর উপস্থিতিতে তার কার্যালয়ে তদন্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

এসব বিষয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পদোন্নতি হবে। তবে আমি এসব বিষয়ে জানি না। কেউ যদি কিছু করে থাকে তবে সরকারি বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তার ভাইয়ের জন্য বিধি পরিবর্তন করা হয়েছে এ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেনি।

এমআইকে/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর