মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

আতঙ্কের জনপদ মোহাম্মদপুর!

কাজী রফিক
প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১০ এএম

শেয়ার করুন:

আতঙ্কের জনপদ মোহাম্মদপুর!
  • সব ছিনতাইকারীর নিয়ন্ত্রক একজন
  • ছিনতাইকারীরা গড়েছেন নিজস্ব বলয়
  • ছিনতাইকারীদের প্রতি স্থানীয়দের জেলা প্রীতি!

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই উত্তাল ছিল মোহাম্মদপুর। রাজধানীর যে পাঁচ স্থানে বেশি আন্দোলন ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে একটি মোহাম্মদপুর থানা এলাকা। আবার সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা দায়ের হয় এই এলাকায়। গণঅভ্যুত্থানের পর আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠে এই এলাকা। ইতোমধ্যে প্রাণ গেছে ৯ জনের, আহত প্রায় অর্ধশত। এই সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। কারণ, ছিনতাই-ডাকাতি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের মতে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোর না হওয়ায় কমছে না অপরাধ।


বিজ্ঞাপন


মোহাম্মদপুর এলাকায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনার মধ্যে রয়েছে— নেসলে কোম্পানির গাড়ি থেকে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ছিনতাই; অস্ত্রের মুখে নারী শিক্ষার্থীর ব্যাগ কেড়ে নেওয়া; কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে একের পর এক হত্যার ঘটনা; জেনেভা ক্যাম্পের গোলাগুলি। এছাড়া গণছিনতাইয়ের ঘটনা নিত্যদিনের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ছিনতাইয়ের জন্য এলাকা নির্ধারণ করে নিয়েছে অপরাধীরা

মোহাম্মদপুর এলাকার আয়তন প্রায় সাড়ে ১২ বর্গ কিলোমিটার। তবে পুরো এলাকা জুড়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে না। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদপুরের রিং রোড এলাকার পূর্ব পাশে ছিনতাইয়ের কোনও ঘটনা নেই। একই চিত্র শিয়া মসজিদ হয়ে মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ডের পূর্ব পাশেও।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলো বেশি ঘটছে বেড়িবাঁধ এলাকার পশ্চিম পার্শ্বের এলাকায়। তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে— চাঁদ উদ্যান, সাত মসজিদ হাউজিং, লাউতলা, নবীনগর হাউজিং, ঢাকা উদ্যান, তুরাগ হাউজিং, বছিলা ৪০ ফিট, কাটাসুর ও গ্রীণ হাউজিং।


বিজ্ঞাপন


বেড়িবাঁধের পূর্ব পার্শ্বের এলাকার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ— চাঁন মিয়া হাউজিং, মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেড, মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটি, নবোদয় হাউজিং, শ্যামলি হাউজিং, শেখেরটেক, রফিক হাউজিং, আদাবর ১০ ও ১৬নং সড়ক।

অপরাধী বৃদ্ধি পাচ্ছে যেভাবে

স্থানীয় সূত্রমতে, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা বিগত সরকারের সময়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় ছিল। নেতারা নিজেদের প্রয়োজনে তাদেরকে ব্যবহার করতেন। আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে কিশোর গ্যাং সদস্যদের রক্ষায় নিয়মিত তদবির করতেন অনেকে নেতা। এর পেছনে অন্যতম কারণ, ছিনতাই করা মালামাল কিনতেন নেতাদের একাংশ। আবার বড় ধরণের ছিনতাই থেকে ভাগও পেতেন অনেক নেতা।

সরকার পতনের পর মোহাম্মদপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। দীর্ঘদিন পুলিশের অনুপস্থিতি ছিল। পুলিশ থানায় দায়িত্ব গ্রহণের পরেও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি। পুলিশের দুর্বলতা আছে, এমন এলাকাকে ইতোমধ্যে ছিনতাইকারীরা বেছে নিয়েছে ছিনতাইয়ের জন্য।

mpur2

সক্রিয় সব ছিনতাইকারীদের নিয়ন্ত্রক একজন

বর্তমানে মোহাম্মদপুরে ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ১২টি ছিনতাইকারী গ্রুপ সক্রিয় আছে। কোনো গ্রুপের নিয়মিত সদস্য নন, এমন অর্ধশত কিশোর ও যুবকও ছিনতাইয়ে নেমেছে অস্ত্র হাতে।

ছিনতাইকারীদের এক অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, সরকার পতনের পর মোহাম্মদপুরে সবচেয়ে বেশি অপরাধমূলক কাজ করেছে আনোয়ার গ্রুপ। কব্জিকাটা গ্রুপ হিসেবে পরিচিত এই গ্যাংয়ের প্রধান আনোয়ার, যার হাতে কিছুদিন আগেই আরেক কিশোর গ্যাং লিডার ফাইটার বিল্লাল খুন হন। এই আনোয়ারের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই অব্যাহত রেখেছে বিভিন্ন গ্রুপ।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একজন স’মিল মালিক ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘কমপক্ষে এক হাজার ছিনতাইকারী আছে। সবার হাতে অস্ত্র আছে, ধারালো অস্ত্র। তাই কেউ কিছু বলে না। আমরা এখানে ব্যবসা করি। কিছু বলতে গেলে আমাদের ওপরও আক্রমণ হবে। তাই আমরা চুপ থাকি।’

ঢাকা উদ্যান-নবীনগর এলাকা

মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধের পশ্চিমে বিশাল আয়তনের এলাকা নবীনগর হাউজিং। ১৬টি সড়ক নিয়ে গড়ে ওঠে এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। ১৯৯০ সালে গড়ে ওঠে এই এলাকাকে ছিনতাইকারীদের আতুর ঘর হিসেবে জানেন স্থানীয়রা। এ এলাকার প্রতিটি গলিতেই রয়েছে ছিনতাইকারীদের বসবাস। আবার নিজ এলাকাতেই ছিনতাই করেন তারা।

একই চিত্র পাশের ঢাকা উদ্যান ও চন্দ্রিমা মডেল টাউন এলাকা। নব্য গড়ে ওঠে এলাকাগুলোতেও ঠাই নিয়েছেন ছিনতাইকারীদের অনেকেই। আবার নবীনগর এলাকা থেকে এসেও ছিনতাই করেন এসব এলাকায়। সবশেষ শুক্রবার রাত ১০টা ৫০ মিনিটে ছিনতাইকারীদের একটি অস্ত্রধারী দল গণছিনতাই করে ঢাকা উদ্যান এলাকার ৩, ৪, ও ৫নং সড়কে। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহতও হন বেশ কয়েকজন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই তিন এলাকায় ছিনতাই করেন ইউনূস গ্যাং, যাদের নিয়ন্ত্রক কব্জিকাটা গ্রুপের প্রধান আনোয়ার।

মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেড, মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটি

সাতটি সড়ক নিয়ে শিয়া মসজিদের পশ্চিম দিকের এলাকা মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেড। পাশেই ১২টি সড়ক নিয়ে আরেক এলাকা মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটি।

স্থানীয়দের তথ্যমতে, এই এলাকায় যারা ছিনতাই করে তারা কেউ স্থানীয় বাসিন্দা না। আশপাশের এলাকা থেকে এসে এই এলাকায় ছিনতাই করে বেশকিছু তরুণ, যারা কয়েকটি কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য। তবে তাদের সঙ্গে কোনো বড় গ্যাংয়ের সমন্বয় নেই।

mpur3

কাটাসুর, রায়ের বাজার ও গ্রীণ হাউজিং এলাকা

ঘনবসতি ও কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য নির্ভর এলাকা কাটাসুর, রায়ের বাজার ও গ্রীণ হাউজিং এলাকা। এসব এলাকায় বসবাসকারীর সংখ্যাও অনেক। তবে স্থানীয়দের ছায়াতলেই ছিনতাইকারী চক্র তাদের বলয় তৈরি করেছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, এসব এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের এর সবচেয়ে বড় গ্রুপ সাজ্জাদ গ্রুপ। এই গ্রুপের সব সদস্যের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাংশের সোর্স হিসেবে কাজ করার সুবাদে এই গ্রুপ প্রায়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। সম্প্রতি সময়ে ছিনতাইয়ে সক্রিয় হয়েছেন এই গ্রুপের সদস্যরা।

গ্রীণ হাউজিং এলাকা স্থানীয়ভাবে ‘গিরিঙ্গি হাউজিং’ নামে পরিচিত। নামের মতোই সার্বক্ষণিক থমথমে অবস্থা বিরাজ করে এই এলাকায়, যার প্রভাব পরে আলী এন্ড নূর রিয়েল স্টেট এলাকাতেও।

সাত মসজিদ হাউজিং, চাঁদ উদ্যান, লাউতলা, ৪০ ফিট এলাকা

এলাকার মূল ফটকে লিখা- ‘সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত এলাকা’। স্থানীয়দের মতে, রাজধানীর বেশিরভাগ ছিনতাইকারী ও মাদকসেবীর বসবাস সাত মসজিদ হাউজিং ও চাঁদ উদ্যান এলাকায়। ছিনতাই এ এলাকার নিয়মিত ঘটনা। বিগত সরকারের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছায়াতলে ছিনতাই করে আসছিল কয়েকটি চক্র। সরকার পতনের পর সরকারি আওয়ামী লীগপন্থী অনেকে কিশোর গ্যাং এখন পলাতক। তাদের জায়গা দখল করেছেন রাসেল গ্রুপ। লাউতলা, বছিলা ৪০ ফিট এলাকায় রাসেলের নিয়ন্ত্রণে চলে ছিনতাই-ডাকাতি। পথচারীদের থেকে মোবাইল, টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি দোকানপাটেও হামলা হচ্ছে নিয়মিত।

নবোদয়, শ্যামলি হাউজিং এলাকা

সন্ত্রাসী এলাকা হিসেবে আগে থেকেই পরিচিত মোহাম্মদপুর নবোদয় হাউজিং এলাকা। এলাকার চারটি ব্লকের মধ্যে নবোদয় বাজার এলাকা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আহাম্মদ গ্রুপের নেতৃত্বে চলছে এই এলাকার ছিনতাই। আহাম্মদ গ্রুপের সরাসরি আনোয়ার গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে আছে।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে শ্যামলি হাউজিং এলাকার একজন চা দোকানি ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘ছিনতাইকারীরা মাটির নিচে থাকে না, এদেরকে সবাই চেনে। কেউ কিছু বলে না। কারণ, এরা সবাই একই জেলার। সব ভোলার। তাই লোকজন ছিনতাইকারীদের নীরবে সম্মতি দেয়।’

mpur4

শেখেরটেক, রফিক হাউজিং, আদাবর

মোহাম্মদপুরের থানা এলাকার পাশে আদাবর, রফিক হাউজিং ও আদাবর এলাকা। যার পশ্চিমের আরেক এলাকা সুনিবিড় হাউজিং, যা স্থানীয়ভাবে ‘শনিরবিল’ নামে পরিচিত। সম্প্রতি এসব এলাকার আগের তুলনায় ছিনতাই বেড়েছে। যারা কিছুদিন আগেও অন্য এলাকায় ছিনতাই করত, এখন তারা নিজ এলাকায় ছিনতাই করছেন বলে জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, শেখেরটেক এলাকা পুরোটা আনোয়ার গ্রুপের (কব্জিকাটা গ্রুপ) নিয়ন্ত্রণে। একই এলাকায় ছিনতাই করছে তুষার ও আহমেদ গ্রুপও।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে শেখেরটেক ৬ এর সাকোর সামনে কয়েকজন রিকশাচালককে কুপিয়ে টাকা-পয়সা লুটে নেয় ছিনতাইকারীরা। এসব ছিনতাইকারীরা একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে, যারা শেখেরটেক ৭নং সড়কের পশ্চিম দিকে ইয়াবা ও গাজার কারবারও করেন।

বিহারিদের দৌরাত্ম্য চরমে

মোহাম্মদপুর এলাকার বাড়তি ঝামেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে জেনেভা ক্যাম্পের উর্দুভাষীরা। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিনে মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা লুট করে উর্দুভাষী মাদক কারবারিরা। সেই অস্ত্র দিয়ে চলছে গোলাগুলি।

জেনেভা ক্যাম্পের মাদককারবারি ভুইয়া সোহেল গ্রুপ এবং পারমনু ও চুয়া সেলিম গ্রুপের মধ্যে গুলি বিনিময় ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন নিহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায়ও শিশুসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।

mpur1

এর বাইরে হুমায়ুন রোড এলাকায় ছিনতাই করেন জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দাদের একাংশ। ছিনতাই-রাহাজানি ঘটনা প্রতিরোধে নিজেদের ‘ব্যর্থ’ বলে অভিহিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ জিয়াউল হক।

শনিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর এলাকার ছাত্র-জনতা ছিনতাই রোধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আপত্তি তুলে থানায় উপস্থিত হন। এসময় গণমাধ্যমকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। এডিসি ছাত্র-জনতার প্রশ্নের মুখে বলেন, ‘আমার থানায় জনবল কম আছে, এটা সবসময় থাকে। এখন হয়ত আরও একটু কম আছে, আমার গাড়ি কম আছে। এগুলো কোনো এক্সকিউজ হতে পারে না। আমি যখন এই পোশাকে (পুলিশের পোশাক) এসেছি, আমার দায়িত্ব হচ্ছে আপনাকে নিরাপত্তা দেওয়া। হ্যাঁ, আমি স্বীকার করতেছি, আমি সেক্ষেত্রে ব্যর্থ।’

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান জানান, প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ করছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। তবে পুলিশ জনতার সাথে মিলে কাজ করতে চায়। এ বিষয়ে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে পরামর্শ চেয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার এই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, ‘আমি এসে এই এলাকার খুব খারাপ অবস্থা পেয়েছি। রায়ের বাজার এলাকার ছিনতাই রোধে আমরা কাজ করেছি, অনেকটা কমেছে। অন্যান্য এলাকায় আমাদের টহল বাড়িয়েছি। সীমিত জনবল দিয়ে চেষ্টা করছি।’

অপরাধীদের ধরতে তীব্র চেষ্টার পরেও ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশ। স্থানীয়দের সহযোগিতা না পাওয়ায়, অপরাধীদের বাসা কোথায় —তা শনাক্ত করা কঠিন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার ওসি।

কারই/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর