মেধাবী আমলা ড. শেখ আব্দুর রশিদকে নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন ২০১৮-এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী, ড. শেখ আব্দুর রশিদ (পরিচিতি নং ১৫৩০)-কে অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠন-এর সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ১৪ অক্টোবর ২০১৪ অথবা যোগদানের তারিখ হতে পরবর্তী ০২ (দুই) বছর মেয়াদে মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নিয়েই মিথ্যা মামলা দিয়ে ড. আব্দুর রশিদকে ওএসডি করে। পরে তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলেও তাঁকে চার বছর পর জানানো হয়, যখন অবসরে যান তিনি। অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্বে থেকে অবসরে যাওয়া এই আমলা বিসিএস ৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি তাঁর ব্যাচে ফার্স্ট হয়েছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে।
আরও পড়ুন
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ড. শেখ আব্দুর রশিদকে পদোন্নতি দিয়ে ১৭ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয় সচিব হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান পদ থেকে ড. এম খায়রুল হোসেন পদত্যাগ করায় নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন ড. শেখ আব্দুর রশিদ।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর জনপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন দফতরের শীর্ষপদে পরিবর্তনের হওয়ায় বাদ পড়েছেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া এক ডজনেরও বেশি সচিব।
বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের চুক্তিও শেষ হচ্ছে। তিনি ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হন। একই বছরের ১৪ অক্টোবর আরও এক বছরের জন্য তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় আওয়ামী লীগ সরকার।
জেবি
