ফেসবুকে একটি পোস্ট দেওয়ার পর তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি নামের এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে সমালোচনা চলছে। তিনি লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। সমালোচনার কারণে তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে বদলি করা হয়েছে এবং পরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
তাপসী ঊর্মি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা মো. ইসমাইল হোসেন একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। যদিও তার বাড়ি নেত্রকোনায়, তবে তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহে বসবাস করছে। মাঝে মাঝে তারা নেত্রকোণা যান।
বিজ্ঞাপন
ঊর্মি মেধাবী ছাত্রী ছিলেন এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে ২০২২ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। তিনি দুই বোন এবং এক ভাইয়ের মধ্যে বড়। তার ছোট ভাই বর্তমানে জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন।
আরও পড়ুন
লালমনিরহাটের সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুমকে ওএসডি
ওএসডির পর এবার সাময়িক বরখাস্ত সেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
ঊর্মির বাবা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন এবং বর্তমানে অবসর জীবনযাপন করছেন। তবে, তার পরিবার রাজনীতির সঙ্গে কখনো সক্রিয় ছিল না।
বিজ্ঞাপন
গত শনিবার, তাপসী একটি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে।” তিনি আরও দাবি করেন যে, এভাবে দেশের ইতিহাস মুছে ফেলা সম্ভব নয়।
এই পোস্টের পর তাকে সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় এবং রোববার তাকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। তবে, বদলির আদেশে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
একদিন পর, সোমবার, তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ বিষয়ে কথা বলার সময় ঊর্মি বলেন, “আমি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি এটাই তো যথেষ্ট। বদলি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যদি আমার চাকরি চলে যায়, সমস্যা নেই। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, এটা মীমাংসিত সত্য। রিসেট বাটন মুছে ফেলে অতীত মুছে ফেলা, এর মানে কি?” তিনি আরও বলেন, “এখন পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি যে, জুলাই গণহত্যা হয়েছে।”
কারই/এইউ