রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম

শেয়ার করুন:

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

গত ২৫ সেপ্টেম্বর অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা মেইলে ‘পলকের আশীর্বাদপুষ্ট স্টার্টআপ বাংলাদেশের এমডি সামি এখনো বহাল তবিয়তে!’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে আমার সম্পর্কে অসত্য, মনগড়া ও আজগুবি তথ্য প্রকাশসহ আমাকে হেয় করে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত, আশাহত ও সংক্ষুব্ধ হয়েছি এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।


বিজ্ঞাপন


সামি বলেন, ওই প্রতিবেদনে পক্ষপাতমূলক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত, দুর্নীতি এবং উদ্যোক্তাদের প্রতি অবিচারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, সুনির্দিষ্টভাবে অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম ‘টেন মিনিট স্কুল’ ও ‘শিখো’ স্টার্টআপের জন্য বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল করার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। উপস্থাপনাটি মোটেও সঠিক নয়। গত জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তৎকালীন সরকারের উচ্চ মহলের চাপে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘টেন মিনিট স্কুল’ এর বিনিয়োগ বাতিল সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিতে বাধ্য হয় কোম্পানি। এটি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কোনও সিদ্ধান্ত ছিল না। এ বিনিয়োগ বাতিল করা হয়নি এবং বহাল রয়েছে- তা নিশ্চিত করে পরবর্তীতে ‘টেন মিনিট স্কুল’ কে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বর্তমান সরকারের উচ্চ মহলসহ সংশ্লিষ্ট স্টার্টআপরা অবগত রয়েছে।

তিনি দাবি করেন, ‘শিখো’ স্টার্টআপে বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কোনও সিদ্ধান্ত ছিল না। স্টার্টআপ বাংলাদেশ হতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বোর্ড অব ডিরেক্টরস কর্তৃক অনুমোদিত গাইডলাইন অনুসরণ করে এক্সটার্নাল আইনি পরামর্শকের মাধ্যমে আইনগত মতামত ও ডিউ ডিলিজেন্স, ইনভেস্টমেন্ট এডভাইজরি কমিটি’র সুপারিশ এবং চূড়ান্তভাবে কোম্পানির বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন গ্রহণ সাপেক্ষে, প্রত্যেকটা সুনির্দিস্ট ধাপসমূহ যাচাই পূর্বক অতিক্রম করার পরই শুধুমাত্র বিনিয়োগ করা হয়ে থাকে। এখানে পছন্দমত প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার কোনও সুযোগ নেই। ‘শিখো’ স্টার্টআপে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে লিগ্যাল ডিউ ডিলিজেন্স রিপোর্টের আলোকে কোম্পানির বোর্ড এ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

প্রতিবাদলিপিতে তিনি আরও দাবি করেন, প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২ সালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে এমডি হন সামি। বিষয়টি মোটেও সঠিক নয়। কোম্পানি থেকে একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রেক্ষিতে আমার আবেদনের আলোকে বোর্ড কর্তৃক ইন্টারভিউ গ্রহণের মাধ্যমে আমি নিজ যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাবলে এ পদের জন্য যোগ্য বিবেচিত হলে কোম্পানির বোর্ড আমাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে। এখানে কারও আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে আমি এমডি হইনি।

‘প্রতিবেদনে উল্লেখ আরও করা হয়েছে, সরকারি সমর্থনের নামে শুধু আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরিচয় অনুযায়ী স্টার্টআপগুলোকে বিনিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এটি একটি ভয়ানক মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য। কোম্পানি থেকে রাজনৈতিক পরিচয় অনুযায়ী স্টার্টআপগুলোকে বিনিয়োগ প্রদানের কোনও সুযোগ নেই। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড হতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বোর্ড অব ডিরেক্টরস কর্তৃক অনুমোদিত গাইডলাইন অনুসরণ করে এক্সটার্নাল আইনি পরামর্শকের মাধ্যমে আইনগত মতামত ও ডিউ ডিলিজেন্স, ইনভেস্টমেন্ট এডভাইজরি কমিটি’র সুপারিশ এবং চূড়ান্তভাবে কোম্পানির বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন গ্রহণ সাপেক্ষে, প্রত্যেকটা সুনির্দিস্ট ধাপসমূহ যাচাই পূর্বক অতিক্রম করার পরই শুধুমাত্র বিনিয়োগ করা হয়ে থাকে। এখানে বরং আমরা উল্লেখ করতে পারি, আমরা অনেক ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক সুপারিশ থাকার পরও শুধুমাত্র ডিউ ডিলিজেন্সে ফেইল করার কারণে অনেক স্টার্টআপে বিনিয়োগ করিনি।’


বিজ্ঞাপন


‘প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনিয়োগ প্রক্রিয়ায় কমিশন বাণিজ্যের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল সামি, প্রতি ১০ লাখ টাকার বিনিয়োগ এবং অনুদান পেতে উদ্যোক্তাদের থেকে ৩ লাখ টাকা কমিশন দাবি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ বক্তব্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উল্লেখ্য, আইসিটি বিভাগের আওতাধীন একটি প্রকল্প হতে উদ্যোক্তাদের ১০ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে; স্টার্টআপ বাংলাদেশ হতে এ ধরণের কোনও অনুদান প্রদান করা হয় না। সেই সাথে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, স্টার্টআপ বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে কোন স্টার্টআপ থেকে কোনও ধরণের কমিশন দাবি করা হয়েছে, এ ধরণের কোনও প্রমাণ কেউ দিতে সক্ষম হবে না।’

‘প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের পরামর্শে আইসিটি ভবনের অফিস থেকে আলাদা স্থানে (কনকর্ড সিলভি হাইটস (৯ তলা), ৭৩ এ গুলশান অ্যাভিনিউ, গুলশান-১ ঢাকা) স্টার্টআপ বাংলাদেশের আরও একটি অফিস স্থাপন করার মাধ্যমে সামি তার দুর্নীতি ও অনিয়মকে পাকাপোক্ত করেছেন। এটি একেবারে অসত্য, মিথ্যা ও বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য। আমি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদানের ৭ মাস পূর্বে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সময়ে এ অফিস স্থাপন করা সম্পন্ন হয়। বরং, আমি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর ২০২৩ সালে বোর্ডকে অনুরোধ করে অফিস আইসিটি টাওয়ারে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করি এবং গত জানুয়ারি মাসে গুলশানের অফিস ছেড়ে দেওয়া হয়।’

‘প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে অনেক বেশি স্যালারি দিয়ে কিছু পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছেন, যারা মূলত কমিশন ডিল এবং রাজনৈতিক বিনিয়োগ নিশ্চিত করতো। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং একটি ভুল তথ্য উপস্থাপনা। উল্লেখ্য, আমি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর স্টার্টআপ বাংলাদেশ-এ কোনও পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত, আইসিটি বিভাগের আওতাধীন একটি প্রকল্পে উদ্যোক্তাদের অনুদান প্রদান ডিল করার জন্য সাধারণত এ ধরনের পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।’

‘সামি রাজনৈতিকভাবে অনুদান দেওয়ার পর স্টার্টআপ করতে পারেনি; ‘ড্রাইভারবিডিডটকম’ এবং ‘ফাইভডি টেকনোলজি’ নামে এমন দুইটি প্রতিষ্ঠানের নামসহ এ ধরণের একটি বক্তব্য উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে সম্পূর্ণ ভুল একটি তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। ‘ড্রাইভারবিডিডটকম’ এবং ‘ফাইভডি টেকনোলজি’ নামে কোনও প্রতিষ্ঠানে স্টার্টআপ বাংলাদেশ বিনিয়োগ করেনি। আমরা যতদূর জানি, আইসিটি বিভাগের আওতাধীন একটি প্রকল্প থেকে এ দু’টি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানে অনুদান প্রদান করা হয়েছে, এবং এর সাথে স্টার্টআপ বাংলাদেশ এর কোনও সম্পর্ক নেই।’

প্রতিবাদলিপিতে সামি দাবি করেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নই। রাজনৈতিক কোনও কর্মকাণ্ডের সাথেও আমার কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। স্টার্টআপ বাংলাদেশ এ আমি আমার পেশাদারি যোগ্যতার কারণে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছি এবং সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সাথে আমি আমার দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু এ প্রতিবেদনে আমাকে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যা সঠিক নয়।’

‘প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেইলের পক্ষ থেকে স্টার্টআপ বাংলাদেশের এমডি সামিকে মুঠোফোনে কল দেওয়া হয়, তবে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি ‘মিটিংয়ে আছেন’ বলে কল কেটে দেন। বক্তব্যটি অসত্য। সেদিন বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে আমাকে ফোন করা হয়, আমি একটি মিটিং এ ব্যস্ত আছি বলায় অপর প্রান্ত থেকেই ফোন কেটে দেওয়া হয়েছে। ওইদিনই বিকেল ৪টা ২৯টায় প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয় যা আমাকে ফোন দেওয়ার আরও ২ মিনিট পূর্বে। একজন সাংবাদিকের আচরণে আরও পেশাদারিত্ব থাকা দরকার ছিল, তা না হয়ে বরং তা ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

তিনি দাবি করেন, প্রতিবেদনে উল্লেখিত প্রত্যেকটি সংবাদ ভুল ও মিথ্যা তথ্য সম্বলিত, অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ব্যক্তিগতভাবে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা এবং আমার মানহানি করার উদ্দেশ্যে এ ধরণের সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। এ ধরণের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড অথবা স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিকট হতে সঠিক তথ্য না নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে যা পেশাদারিত্বের বাইরে বলে আমি মনে করি। আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা এবং আমার মানহানির লক্ষ্যে এ ধরণের মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশে আমি ভীষণ মর্মাহত ও সংক্ষুব্ধ এবং উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রতিবাদলিপিতে অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম ‘টেন মিনিট স্কুল’ ও ‘শিখো’ স্টার্টআপের জন্য বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল করার বিষয়ে উপস্থাপনাটি মোটেও সঠিক নয় দাবি করেন সামি।

অথচ শিখো’র যে বিনিয়োগ বাতিল করা হয়েছে তা শিখো’র সিইও শাহির চৌধুরী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেছেন। উনি নিজেই লিখেছেন স্টার্টআপ বাংলাদেশ তার নিশ্চিত বিনিয়োগ বাতিল করেছে। এমডি হিসেবে উনি কি এর দায় এড়াতে পারেন? যত বিনিয়োগ পর্যালোচনা কমিটির কথাই বলা হোক, এই কমিটি গুলোইতো রাজনৈতিক পরামর্শকদের নিয়ে গঠিত ছিল।

এছাড়াও টেন মিনিট স্কুলের ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল হওয়ার বিষয়টি জাতীয় সকল প্রথম সারির পত্রিকাতে এসেছে। বাতিল হওয়ার বিষয়টি স্টার্টআপ বাংলাদেশ এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও দেওয়া হয়েছে। টেন মিনিট স্কুলের সিইও আয়মান সাদিকও তার ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেছেন।

টেন মিনিট স্কুলের বাতিলকৃত বিনিয়োগ পুনরায় দেওয়ার বিষয়টি আইসিটি উপদেষ্টা এবং ছাত্রদের দাবির মুখে বহাল করা হতে পারে কিন্তু বাতিল যে করা হয়েছে এটা তো সত্য। এই বাতিল করার দায় এমডি হিসেবে সামি আহমেদ এড়াতে পারেন না।

এ বিষয়গুলো এবং দুর্নীতির বিষয়ে কিছু প্রমাণ থাকার কারণে স্টার্টআপ বাংলাদেশের অফিসিয়াল পেজ ডিএকটিভেট করে রাখা হয়েছে। ফেসবুক পেজ বন্ধ করার বিষয়টি প্রতিবাদলিপিতে এড়িয়ে গেছেন সামি।

আইসিটি ভবনের অফিস থেকে আলাদা স্থানে (কনকর্ড সিলভি হাইটস (৯ তলা), ৭৩ এ গুলশান অ্যাভিনিউ, গুলশান-১ ঢাকা) স্টার্টআপ বাংলাদেশের আরও একটি অফিসের বিষয়ে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয় সেটি চলতি বছরের জানুয়ারিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অফিস গত মাসে ছাড়ার কথা। কিন্তু ভবন মালিককে অনুরোধ করে লিখিত নেওয়া হয়, এটা বলার জন্য যে জানুয়ারিতে অফিসটি ছাড়া হয়েছে। অনিয়মের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বাকী মাসগুলোর ভাড়ার অর্থ তার পকেট থেকে খরচ করবেন বলেও সূত্র জানায়। গুলশানের অফিস ছাড়ার যে বিষয়টা এটা নিয়ে উনি কোনও ডকুমেন্টস দেখাতে পারবেন যে উনি জানুয়ারি মাসে ছেড়েছেন?

অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে সেদিন মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তাড়াহুড়ো করে ‘মিটিংয়ে আছেন’ বলে সামি নিজেই কল কেটে দেন। অথচ প্রতিবাদলিপিতে তিনি দাবি করেন, প্রতিবেদক কল কেটে দেন, যা অসত্য।

/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর