শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব আন্দোলনে বিদায় নিতে হয়েছে টানা চার মেয়াদ ধরে ক্ষমতা ধরে রাখা শেখ হাসিনাকে। এজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে তাদের মূল্যায়নের কথা ভাবা হচ্ছে। এজন্য সরকার পরিচালনায় শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার জন্য ‘উপদেষ্টা সহকারী’ হিসেবে তাদের নিযুক্ত করার কথা ভাবছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
যমুনা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। এসময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
বৈঠকে মূলত আইনশৃঙ্খলা ও অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কিছু বিধান গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে পড়লে অসুবিধা হয় না। কিন্তু অগণতান্ত্রিক সরকারের হাতে অপপ্রয়োগ হয়। তিনি বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো আইনগুলোর কোনো কোনো বিধান অপপ্রয়োগের ঝুঁকি আছে, সেগুলো নির্ণয় করে বাদ দেওয়া হবে।’
যত দ্রুত সম্ভব যেন পুলিশ নামতে পারে, সেজন্য সবার সহায়তা চান উপদেষ্টারা। রেজওয়ানা হাসান বলেন, ‘পুলিশ অনিরাপদ বোধ করলে নামবে না।’
দুর্নীতিবিরোধী সিস্টেম পরিবর্তনের জন্য অবশ্যই লড়াই হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমাদের মূল কাজ দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। এরপর আমাদের দায়িত্ব শেষ হবে।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্রদের 'ভয়েস' নিশ্চিত করতেই উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হয়েছেন তারা। এছাড়া, ছাত্র প্রতিনিধিদের উপদেষ্টাদের সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ থাকবে বলেও জানান তিনি।
জেবি