নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। এই মন্ত্রিসভায় একাই ২৭ দফতরের দায়িত্বে থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মোট ২৭টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন। এগুলো হলো— ১. মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; ২. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; ৩. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; ৪. শিক্ষা মন্ত্রণালয়; ৫. সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়; ৬. খাদ্য মন্ত্রণালয়; ৭. গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; ৮. ভূমি মন্ত্রণালয়; ৯. বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; ১০. কৃষি মন্ত্রণালয়; ১১. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; ১২. রেলপথ মন্ত্রণালয়; ১৩. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; ১৪. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; ১৫. নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়; ১৬. পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়; ১৭. মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ১৮. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়; ১৯. তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; ২০ . প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; ২১. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; ২২. শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; ২৩. সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ২৪. বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়; ২৫. মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ২৬. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ২৭. প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টায় বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সবাই শপথগ্রহণ করেন। ড. ইউনূসের পর শপথ নেন ১৩ উপদেষ্টা। তারা হলেন— ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মো. নাহিদ ইসলাম (ছাত্র প্রতিনিধি), আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (ছাত্র প্রতিনিধি), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, ফরিদা আখতার, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, নুরজাহান বেগম এবং শারমিন মুরশিদ। তিনজন ঢাকায় নেই, তারা পরে শপথ নেবেন।
এদিকে, দায়িত্ব নেওয়ার পর এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, কাল সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্রের, সুবিচারের, মানবাধিকারের, নির্ভয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সবার স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন ধারণে সরকারের সহযোগিতা সবাই উপভোগ করবেন। এটা আমাদের সরকারের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য পূরণে আমাদের সহায়তা করুন।
বিজ্ঞাপন
স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা জয়ী হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারাবিশ্ব আজ অবাক হয়ে বলছে সাবাস বাংলাদেশ। সাবাস বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা। আমরা এই অর্জনকে আরও অনেকদূর নিয়ে যেতে চাই।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য তরুণদের শক্তিকে কাজে লাগানোর কথা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের ছাত্র-জনতার জন্য কিছুই অসম্ভব নয়। আমাদের তরুণরা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে, তারা সেজন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকি, সবার জন্য মুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারি, আমাদের বিজয় অবশ্যই হবে।
এমএইচটি