শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ঢাকা

সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না, দায়ীদের ছাড় নয়: প্রতিমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২৪, ০৬:৪৩ পিএম

শেয়ার করুন:

সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না, দোষীদের ছাড় নয়: প্রতিমন্ত্রী

মালয়েশিয়ায় বিপুল সংখ্যক কর্মী যেতে না পারার পেছনে যারাই সিন্ডিকেট করে থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। 

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন হুঁশিয়ারি দেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সিন্ডিকেট এলাউ করব না। রিক্রুটিং এজেন্সি যারা অনুমোদিত সবাই কাজ করবে। আমরা চাই, সবাই কাজ করুক, সবার জন্য খোলা থাকুক। আমরা সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না।’

আরও পড়ুন

৯৬ হাজার অ‌বৈধ কর্মীকে বৈধতা দে‌ওয়ার আশ্বাস ওমানের

কর্মীদের যেতে না পারার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাধাগ্রস্তরা অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা কাউকে ছাড় দেব না। যাদের কারণে ভাবমূর্তি নষ্ট তাদের কোনো দিন ছাড় দেব না। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের টাকা ফেরতের বিষয়ে শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে আমরা বসব। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করব যেন সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়।’


বিজ্ঞাপন


প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ‘এখন অবধি মালয়েশিয়া যেতে না পারা তিন হাজার কর্মী অভিযোগ করেছেন। আবেদন করার শেষ সময় যদিও ৮ জুন বলা হচ্ছে, এখনও আবেদন আসছে। সেগুলো মন্ত্রণালয় গ্রহণও করছে। মন্ত্রণালয়ের কাছে আসা অভিযোগগুলো শুধু সিঙ্গেল নয়, গ্রুপ আবেদনও রয়েছে। এ কারণে আগামী পাঁচ কর্মদিবস বাড়ানো হয়েছে। এর ভেতরে যা অভিযোগ আসবে তা আমলে নেবে মন্ত্রণালয়।’

আরও পড়ুন

‘মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা’

মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, গত ৩১ মে পর্যন্ত দেশটিতে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৬ জন বাংলাদেশি কর্মীকে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) ছাড়পত্র দেয় প্রায় ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৬৪২ জনকে।

মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য জনপ্রতি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা করে খরচ নির্ধারণ করে সরকার। পাসপোর্ট খরচ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, নিবন্ধন ফি, কল্যাণ ফি, বিমা, স্মার্ট কার্ড ফি ও সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভিস চার্জ এর মধ্যেই থাকার কথা। আর কর্মীদের ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার বিমান ভাড়াসহ ১৫টি খাতের খরচ বহন করার কথা ছিল নিয়োগকারী কোম্পানির। কিন্তু কর্মীপ্রতি গড়ে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই রুটে বিমান ভাড়াও ৩০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ১ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়।

আরও পড়ুন

‘মালয়েশিয়া শ্রমবাজার ইস্যুতে দোষারোপ নয়, তদন্তে সব প্রমাণিত হবে’

এরপরও কোটার অন্তত ৩২ হাজার ৩৪জন কর্মী দেশটিতে যেতে পারেননি। তাদের কেউ-কেউ বিমানের টিকিট পাননি। আবার কেউ এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়ে যেতে পারেননি।

এমআইকে/এমআর 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর