রাজধানীর আলোচিত গোশত বিক্রেতা খিলগাঁওয়ের খলিল আহমেদ। বাজারের অন্য ব্যবসায়ীদের তুলনায় কম দামে গরুর গোশত বিক্রি করতে গিয়ে পেতে হয়েছে হত্যার হুমকি। তবুও দমে যাননি। চলতি রমজানে যেখানে ঢাকায় কেজি প্রতি ৮শ টাকা ছুঁয়েছে গরুর গোশতের দাম, তখন খলিল ঘোষণা দিয়েছেন রমজানে ৫৯৫ টাকা কেজি দরে গরুর গোশত বিক্রির। স্রোতের বিপরীতে চলা আলোচিত এই ব্যবসায়ীকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান।
ভোক্তা অধিকার দিবসে সরকারের পক্ষ থেকে গোশত ব্যবসায়ী খলিলকে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রমজানজুড়ে খলিল গোশত বিতানে ছাড়কৃত মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান ভোক্তার মহাপরিচালক।
এ সময় সফিকুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, খলিলের কম দামে গরুর গোশত বিক্রির উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করতে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, কম দামে গরুর গোশত বিক্রি করে বাজারে সাড়া ফেলে দিয়েছেন খলিল আহমেদ। এর প্রভাবে বাজারেও কমেছে দাম। তাই জাতীয় ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে খলিলকে পুরস্কৃত করা হবে।
বিজ্ঞাপন
অসাধু ব্যবসায়ীরা এই উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করতে খলিলকে হুমকি দিচ্ছে জানিয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, খলিলের এ উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করতে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। নানাভাবে তাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এ সময় খলিল জানান, ক্রেতাদের রমজানে ৫০০ টাকায় গোশত খাওয়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু গরুর দাম বেশি হওয়ায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। তবে ৫৯৫ টাকা কেজি দরে গোশত বিক্রি করলেও লোকসান হবে না।
খলিল বলেন, ছাড়কৃত মূল্যে এ গোশত বিক্রি কার্যক্রম চলবে ২৫ রোজা পর্যন্ত। একজন ক্রেতা নির্ধারিত মূল্যে সর্বোচ্চ ৫ কেজি গোশত কিনতে পারবেন।
এর আগে গত বছরের শেষ দিকে কম দামে গোশত বিক্রি করে আলোচনায় আসেন খলিল। সে সময় তার নেয়া এই উদ্যোগের ফলে বাজারে কমতে শুরু করে গরুর গোশতের দাম। ফলে বাধ্য হয়ে গরুর গোশতের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় ব্যবসায়ী সমিতি। তবে এক মাস না পেরুতে আবারও বাজারে বাড়তে শুরু করে গোশতের দাম।
বিইউ/এমআর

