বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

পদ্মা সেতুর ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ চলছে

আসাদুজ্জামান লিমন
প্রকাশিত: ০৮ মে ২০২২, ১১:৩২ এএম

শেয়ার করুন:

পদ্মা সেতুর ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ চলছে

স্বপ্নের দ্বারপ্রান্তে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। আগামী মাসেই খুলছে স্বপ্নের দুয়ার। সেতু চালু হলে উত্তাল পদ্মা পাড়ি দিতে আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না। বহুরূপী পদ্মার ওপর দিয়ে সাঁই সাঁই করে ছুটবে গাড়ি। কু ঝিকঝিক আওয়াজ তুলে চলবে রেল গাড়ি। এমন স্বপ্নে যখন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ বিভোর, তখন সেতুতে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ।

পদ্মা সেতুতে এখন বড় কাজের একটি ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া। সেই কাজটিই এখন চলছে রাত-দিন। প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে শ্রমিকরা প্যারাপেট ওয়ালের ভেতর দিয়ে এক ল্যাম্পপোস্ট থেকে আরেক ল্যাম্পপোস্টে তার টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।


বিজ্ঞাপন


পুরো সেতুতে বসানো হয়েছে ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট। মূল সেতুতে ৩২৮টি এবং দুই প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৮৭টি বসেছে। এসব ল্যাম্পপোস্ট চীনের তৈরি। প্রতি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হলেও এসব ল্যাম্পপোস্টের কোনো ক্ষতি হবে না। প্রতিটি পোস্টের ওজন ২৭৫ কেজি ও দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ২ মিটার। প্রতিটি ল্যাম্পপোস্টের মাথায় রয়েছে ১৭৫ ওয়াটের এলইডি লাইট।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচলের জন্য স্ট্রিট লাইটিং ও বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে স্থায়ী আর্কিটেকচারাল লাইটিং করা হবে। পদ্মা সেতুতে থাকবে দুই ধরনের আলোকসজ্জার ব্যবস্থা। একটি যানবাহনের চলার পথ আলোকিত করতে স্ট্রিট লাইটিং, অন্যটি কোনো উৎসব কিংবা জাতীয় কোনো দিবসে পুরো সেতু নানা রঙে আলোকসজ্জা করার স্থায়ী ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থাকে আর্কিটেকচারাল লাইটিং বলা হচ্ছে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। একইসঙ্গে চলতে থাকে রোডওয়ে, রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোসহ অন্যান্য কাজ।

সেতুর মূল আকৃতি দোতলা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেড। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। জুন মাসের মধ্যেই এই সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা রয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এজেড/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর