রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

আধিপত্যে একটুও ভাটা পড়েনি কিংবদন্তি লেখকদের

এম এইচ ইমরান
প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১৫ পিএম

শেয়ার করুন:

আধিপত্যে একটুও ভাটা পড়েনি কিংবদন্তি লেখকদের

দেখতে দেখতে বাঙালির প্রাণের বইমেলার ৮ম দিন পার করেছে। ধীরে ধীরে পাঠক-লেখক ও প্রকাশকদের কলকাকলিতে মুখর হতে শুরু করেছে মেলা প্রাঙ্গণ। প্রতিদিন কোনও না কোনও স্টলে দেখা মিলছে নতুন লেখকদের। বইমেলার প্রাণ এসব উদীয়মান লেখকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা কিংবা অটোগ্রাফ দিয়ে প্রচার করছেন নিজের নতুন বইয়ের। প্রতিদিন প্রায় ৫০ এরও অধিক নতুন লেখদের বই আসছে বইমেলায়। তবে এতসব উদীয়মান লেখদের ভিড়ে একটুও আধিপত্য হারায়নি কিংবদন্তি লেখকদের বই। কোনও ধরণের অটোগ্রাফ বা প্রচারণা ছাড়াই সমানতালে বিক্রি হচ্ছে বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি লেখকদের বই।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে ঘুরে দেখা যায়, অন্যপ্রকাশ, কাকলী, অনুপম, অন্বেষা এর মতো পরিচিত প্রকাশনীগুলোর স্টলে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। এসব প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, কিংবদন্তি লেখকদের বই বিক্রিতেই।


বিজ্ঞাপন


প্রকাশকরা বলছেন, কিছু ক্ষেত্রে এখনও নতুনদের থেকে ঢের এগিয়ে কিংবদন্তি লেখকরা। সাহিত্যানুরাগীরা হুমায়ুন-বঙ্কিমচন্দ্রদের ছাড়া নতুন কাউকে এখনও আবিষ্কার করতে পারেনি। তাছাড়া এসব লেখকদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ আছে সমবয়সী মানুষের। ফলে বাজারে কাটতিতেও এসব লেখকদের বইয়ের চাহিদা বহুগুণ।

বিশেষ করে অন্যপ্রকাশের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পাঠক-দর্শনার্থীদের হুমায়ূনের বই কেনার দৃশ্য ছিল চোখে পড়ার মতো। এই প্যাভিলিয়নে বৃষ্টি বিলাস, মাতাল হাওয়া, নীল মানুষ, সে আসে ধীরে, এপিটাফ, এই বসন্তে, নক্ষত্রের রাত বইগুলো আছে বিক্রির শীর্ষে। এই স্টলের বিক্রয়কর্মী মুন বলেন, আমাদের প্যাভিলিয়ন হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের জন্য বিখ্যাত। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে তার বই। বিশেষত হুমায়ুন আহমেদ, রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্কিমদের সাহিত্য অনুরাগীদের ভিড় যেন দোকানে লেগেই থাকে।

মিজান পাবলিশার্সের বিক্রয়কর্মী প্রত্যয় পাল বলেন, স্টলে সাহিত্যের বইগুলোর চাহিদা বেশি। এরমধ্যে পাঠকদের পছন্দের শীর্ষে শরৎচন্দ্র, বঙ্কিম এবং রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যগুলো। পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু কবিতার বইয়েরও চাহিদা রয়েছে।


বিজ্ঞাপন


কাকলী প্রকাশনীতে হুমায়ূন আহমেদের শ্রেষ্ঠ হিমু, শ্রেষ্ঠ মিসির আলি, শ্রেষ্ঠ হুমায়ূন এসব বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। এই প্যাভিলিয়নের বিক্রয়কর্মী আবিদ বলেন, হুমায়ূন আহমেদের বই এত বেশি বিক্রি হয় যে নতুন লেখকদের কোনও পাত্তাই নেই। এ ছাড়া অনুপম প্রকাশনীতে চক্ষে আমার তৃষ্ণা, অয়োময়, দারুচিনি দ্বীপ, রূপালী দ্বীপ, সায়েন্স ফিকশন গল্পসমগ্র এবং অন্বেষা প্রকাশনীতে রূপা, হিমুর হাতে কয়েকটি নীল পদ্ম, সে ও নর্তকী, তন্দ্রাবিলাস, অমানুষ, নির্বাসন বইগুলো হুমড়ি খেয়ে কিনছেন পাঠকরা। এছাড়া জাফর ইকবালের সাইন্স ফিকশনের চাহিদাও রয়েছে বলে জানান তিনি।

কাকলী প্রকাশনীর স্টলের সামনে হুমায়ুন আহমেদের বই দেখেছেন সামিয়া সুলতানা। রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থেকে আসা এই বইপ্রেমী জানান, হুমায়ুন আহমেদের বইয়ের প্রতি তার অনুরাগ অনেক আগ থেকেই। আজকে নিজের প্রিয়জনকে বই গিফট করবেন বলে বইমেলায় আসা তার। সেজন্যই কাকলি প্রকাশনীর স্টলের বইগুলো নেড়েচেড়ে দেখছেন তিনি।

পুথিনিলয় প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী সুলতান মাহমুদ শুভ বলেন, নতুন লেখকদের সঙ্গে তাল মিলিয়েই চলছে কিংবদন্তি লেখকদের বই বিক্রি। কিংবদন্তি লেখকদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের বইয়ের চাহিদা কিছুটা বেশি রয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রতিনিধি/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর