রোববার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

চতুর্থ দিনে বইমেলায় নতুন ৬৬ বই

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩৮ পিএম

শেয়ার করুন:

চতুর্থ দিনে বইমেলায় নতুন ৬৬ বই
ফাইল ছবি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর চতুর্থ দিনে ৬৬টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ ১২টি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও ১০টি জীবনী ও ১১টি কবিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ের বই রয়েছে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এ দিন বেলা ৩টা থেকে বইমেলা শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলমান ছিল।


বিজ্ঞাপন


কবিতা ছাড়াও এই সময়ে প্রকাশিত অন্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে নয়টি গল্প, পাঁচটি প্রবন্ধ, ১০টি কবিতা, একটি গবেষণা, রম্য বা ধাঁধাঁ ছয়টি, ধর্মীয় একটি, জীবনী ১১টি, অনুবাদ দুটি, মুক্তিযুদ্ধ একটি, অন্যান্য একটিসহ মোট ৬৬টি। 

এদিকে বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: ‘কাঙাল হরিনাথ মজুমদার’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তপন মজুমদার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাফর ওয়াজেদ এবং আমিনুর রহমান সুলতান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুনতাসীর মামুন। আলোচনার শুরুতে কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের জীবন ও কর্মভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

প্রাবন্ধিক বলেন, বাউল সংগীতকে সামাজিক জীবনধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করার মানসে ঊনবিংশ শতকে যে কয়েকজন সাহিত্যসাধক নিজেদের সাহিত্যসম্পদকে নিয়োজিত করেছিলেন কাঙাল হরিনাথ তাঁদের মধ্যে অন্যতম পথিকৃত। কাঙাল হরিনাথ হিরনায় প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। কাঙাল হরিনাথের জীবন-দর্শন, আধ্যাত্ম ভাবনা ও মরমি মানসের পরিচয় পাওয়া যায় তাঁর বাউল সংগীতের মধ্যে। এই বাউল সংগীতের কথা ও সুর এবং সহজ-সরল প্রাণস্পর্শী ভাব কী শিক্ষিত আর কী নিরক্ষর, সকলকেই মুগ্ধ করে।

আরও পড়ুন

বইমেলায় দর্শনার্থী বাড়লেও বিক্রি বাড়েনি

আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, রুচিশীল ও শিল্পবোধ-সম্পন্ন কাঙাল হরিনাথ মজুমদার ছিলেন সৌন্দর্যের পূজারি। আমাদের আবহমান বাংলার লোক-ঐতিহ্যকে হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন তিনি। সংবাদপত্র ও সাহিত্যকে তিনি শাসক ও শোষকদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তিনি যেমন বাউল গানে অধ্যাত্মবাদের কথা বলেছেন তেমনি সমাজ-সংস্কারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। কাঙাল হরিনাথ মজুমদার নিজেই ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান।

সভাপতির বক্তব্যে মুনতাসীর মামুন বলেন, কাঙাল হরিনাথ মজুমদার ছিলেন একইসঙ্গে বিদ্রোহী এবং অধ্যাত্মবাদী। তাঁর কর্মের ব্যাপ্তি ছিল অনেক দূর-বিস্তৃত। সৃজনশীল বুদ্ধিজীবী হিসেবে তিনি প্রান্তিক অবস্থানে থেকেও সমাজ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন।

এছাড়া আজ ‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন চলচ্চিত্রকার ও লেখক তানভীর মোকাম্মেল, শিশুসাহিত্যিক বেণীমাধব সরকার, গবেষক কাজল রশীদ শাহীন এবং কবি ফারুক আহমেদ।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি আনিসুল হক, ফারুক মাহমুদ এবং ঝর্না রহমান। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ডালিয়া আহমেদ এবং নায়লা তারান্নুম চৌধুরী। এছাড়া ছিল অনুপম বিশ্বাসের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'বেসিক একাডেমি অফ ইয়োগিক এ্যাকুস্টিক ট্রেডিশনাল ইন্সট্রুমেন্ট' এবং মো. সাজেদুল ইসলাম ফাতেমীর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'নকশিকাঁথা'র সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন, চন্দনা মজুমদার, আব্দুল লতিফ শাহ, আরিফ দেওয়ান এবং সরকার আমিরুল ইসলাম। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ পাল (তবলা), এ কে আজাদ মিন্টু (কী-বোর্ড), গাজী আবদুল হাকিম (বাঁশি) এবং শেখ জালাল উদ্দীন (দোতারা)।

এমএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর