সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বইমেলায় দর্শনার্থী বাড়লেও বিক্রি বাড়েনি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, ঢাবি
প্রকাশিত: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

বইমেলায় দর্শনার্থী বাড়লেও বিক্রি বাড়েনি

লেখক-প্রকাশক ও পাঠকের প্রাণের বইমেলার তৃতীয় দিনে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়লেও বিক্রি বাড়েনি। ছুটির দিন হিসেবে গতকালের তুলনায় বিক্রি কম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রকাশকরা। তবে সামনের দিনগুলোতে বিক্রি বাড়বে বলে প্রত্যাশা তাদের।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে মেলা প্রাঙ্গণে ব্যাপক লোকসমাগম লক্ষ্য করা গেছে।


বিজ্ঞাপন


পুথিনিলয় প্রকাশনীর সুলতান মাহমুদ শুভ বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট কিছু বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত বই বিক্রি হচ্ছে বলা চলে। আমি বলব পাঠকরা মাত্র আসা শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোতে বই বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা রাখছি। আমাদের স্টলে রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতা, মোহাম্মদ আমীনের লেখা প্রমিত বাংলা বানানের বই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি চলছে।

বাংলা একাডেমির স্টলের মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ছুটির দিন হিসেবে বিক্রয় কমই ছিল। সবচেয়ে বেশি বিক্রির তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন ভাষার অভিধান, গল্প, শিশুদের গল্পের বইগুলো। তবে এখনও বইমেলা জমজমাট হয়নি।

অন্যধারা প্রকাশনীর মাহবুব হোসেন বলেন, গতকালের তুলনায় বিক্রি কম। এরমধ্যে সাদাত হোসেনের লেখা ‘তোমার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম বলে’ এবং  ইলমা বেহরোজের লেখা ‘প দ্ম জা’ বই দুটি বেশি বিক্রি হচ্ছে।

জিনিয়াস পাবলিকেশনের মশিউর রহমান বলেন, ছুটির দিন হিসেবে গতকালের তুলনায় বই বিক্রি কমেছে। আমাদের অনুবাদ বই। নির্দিষ্ট হরোর বইগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে।

বইমেলায় সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে শিশু চত্বরে। ছুটির দিন হিসেবে সকাল থেকেই হালুম, টুকটুকি, শিকুদের নিয়ে মেতেছিল চত্বরটি। দুপুরে শিশু প্রহরের পরে সারাদিন সিসিমপুর মঞ্চে চালু ছিল শিশুদের নিয়ে নানা আয়োজন। শিশু চত্বরে শিশুদের বিভিন্ন ধরণের বই নিয়ে স্টল সাজিয়েছে ডাক প্রকাশনী। প্রকাশনীতে বই বিক্রিতে ব্যস্ত থাকা অন্তর জানায়, ছুটির দিন হিসেবে বেশ জমেছে মেলা। শিশুদের অঙ্কন বই, সাধারণ জ্ঞানের বইসহ রং-বেরংয়ের বর্ণের বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে শুক্রবারের তুলনায় বই বিক্রি কম বলেও জানান এই বই বিক্রেতা।

আজ মেলায় নতুন বই এসেছে ৭৪টি। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘দ্বিশতজন্মবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি: মাইকেল মধুসূদন দত্ত’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রফিকউল্লাহ খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন খসরু পারভেজ এবং হোসনে আরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুহম্মদ নূরুল হুদা।

এদিন লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক সালেহা চৌধুরী, লালন গবেষক আবু ইসহাক হোসেন এবং কবি ও প্রাবন্ধিক মামুন মুস্তাফা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি নাসির আহমেদ, তারিক সুজাত, শাহনাজ মুন্নী এবং নাহার মনিকা। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মিলন কান্তি দে, শাহাদাৎ হোসেন নিপু এবং আফরোজা কণা।

এছাড়া ছিল ঝর্ণা আলমগীরের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী’ এবং লক্ষ্মীকান্ত হাওলাদারের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘শেখ রাসেল ললিতকলা একাডেমি’ এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী সাজেদ আকবর, সালমা আকবর, লাইসা আহমেদ লিসা, অনুরাধা মণ্ডল, মুহা. আব্দুর রশীদ, সঞ্চিতা রাখি এবং পাপড়ি বড়ুয়া। যন্ত্রানুসঙ্গে ছিলেন বিশ্বজিৎ সরকার  (তবলা), দেবা পাল (কী-বোর্ড), নাজমুল আলম খান (মন্দিরা) এবং অসিত বিশ্বাস (এসরাজ)।

মেলার আগামীকালের সময়সূচি

আগামীকাল রোববার মেলা শুরু হবে বিকেল ৩টায়। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

আলোচনা অনুষ্ঠান: বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘স্মরণ: কাঙাল হরিনাথ মজুমদার’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন তপন মজুমদার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন জাফর ওয়াজেদ এবং আমিনুর রহমান সুলতান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মুনতাসীর মামুন।

প্রতিনিধি/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর