বাংলাদেশ কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না। তবে কেউ গায়ের ওপর এসে পড়লে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিয়ানমার পরিস্থিতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
বিজ্ঞাপন
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। তাদের ছোড়া গুলির সিসা ও রকেট লঞ্চার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে উড়ে এসে পড়ছে। এতে ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন।
বর্তমান পরিস্থিতি বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য কতটা হুমকি জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেখুন, আমরা কোনো যুদ্ধে জড়াতে চাই না। আমরা যুদ্ধ চাই না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই আমাদের সেই নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। তার মানে এই নয় যে, আমাদের গায়ে এসে পড়বে আর আমরা ছেড়ে দেব। সেটার জন্য আমরা সবসময় তৈরি আছি। আমরা ওখানে শক্তি বাড়িয়েছি। আমাদের পুলিশ ও কোস্টগার্ডকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে আমাদের সীমানায় কেউ কোনোভাবে অনুপ্রবেশ করতে না পারে। সে ব্যাপারে আমরা খুব সতর্ক আছি।
মিয়ানমার পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারে সবসময়ই নানা ধরনের বিদ্রোহ লেগেই আছে। সম্প্রতি আমরা দেখেছি, রাখাইনের অনেক এলাকা একের পর এক দখল করে নিচ্ছে আরাকান আর্মি নামের একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। ক্রমাগত তারা শক্তিশালী হয়ে আরও সামনের দিকে এগোচ্ছে। আমাদের কাছে এই তথ্য এসেছে।
মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলছে। এদিকে মিয়ানমারের যে বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), তাদের ঘাঁটিগুলো একের পর এক দখল করে নিচ্ছে আরাকান আর্মি। আমাদের সীমান্তের সংলগ্ন যেগুলো ছিল, সেগুলো দখল করে নিয়েছে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আত্মরক্ষার্থে বিজিপির কয়েকজন সদস্য আমাদের সীমানায় ঢুকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে অবরুদ্ধ করেছেন। তাদের অস্ত্র জমা নিয়ে একটি জায়গায় আটকে রেখেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে, যাতে তারা এদেরকে নিয়ে যান।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, মিয়ানমারে যে যুদ্ধ চলছে, সেটা কত দিন চলবে আমরা জানি না। আমাদের সীমান্ত অতিক্রম করে কাউকে আমরা আসতে দেব না। বিজিবিকে আমরা সেই নির্দেশনা দিয়েছি।
জেবি