সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

একটি আসনও পায়নি তৃণমূল বিএনপি-বিএনএম

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৪ এএম

শেয়ার করুন:

একটি আসনও পায়নি তৃণমূল বিএনপি-বিএনএম

রাজনীতিতে মেরুকরণের হাঁকডাক দিয়ে সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হুদার হাতেগড়া দল তৃণমূল বিএনপি। ভোটের আগে নিবন্ধন পাওয়া দলটি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৩৫ আসনে প্রার্থী দিলেও একটি আসনেও জয় পায়নি। ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিত দলটির তিন ‘হেভিওয়েট’ নেতা আলোচনায় থাকলেও তাদের কেউই মূল লড়াইয়ে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেননি। একই অবস্থা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনেরও (বিএনএম)। ৫৬ আসনে প্রার্থী দিলেও একটি আসনেও জয়েও দেখা পায়নি দলটি।

নির্বাচনে দল দুটির ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে। দল দুটির বেশিরভাগ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

নির্বাচনে অংশ নিয়েও কোনো আসন পায়নি ২৫ দল

‘তৃণমূল বিএনপি’র চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী, মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার ও নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা হুদা ছাড়াও বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, মহাসচিব ড. মুহাম্মদ শাহ্‌জাহানের কেউই জয়ের মুখ দেখেননি।

তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন বিএনপির এক সময়ের প্রভাবশালী নেতা শমসের মবিন চৌধুরী সিলেট-৬ আসনে নির্বাচন করলেও কোনো লড়াই করতে পারেননি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে বিপুল ভোটে হেরেছেন যান। আসনটিতে নাহিদ ৫৮ হাজার ১২৬ ভোট পেয়ে পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আর ১০ হাজার ৮৫৮ ভোট পেয়েছে তৃতীয় হয়েছেন শমসের মবিন চৌধুরী।

আরও পড়ুন

নৌকার ছাড় পেয়েও যেসব আসনে জিততে পারেনি জাপার প্রার্থীরা

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার লড়েছেন আসনটিতে চতুর্থবার নৌকার প্রার্থী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকের বিরুদ্ধে।

 

নির্বাচনে গাজীর সঙ্গে পাত্তাই পাননি তৈমুর আলম। গাজী ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তার বিপরীতে মাত্র ৩ হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন তৈমুর আলম খন্দকার।

মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে লড়াই করেন তৃণমূল বিএনপির নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদা। কিন্তু ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদের ধারাকাছেও ছিলেন না তিনি। অন্তরা সেলিম হুদা পেয়েছেন মাত্র ৬ হাজার ৩৩৭ প্রার্থী। আর বিজয়ী প্রার্থী মহিউদ্দিন পেয়েছেন ৯৫ হাজার ৮৬০ ভোট।

আরও পড়ুন

জামানত হারালেন জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা

সংসদের বিরোধীদল হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিল নতুন নিবন্ধিত দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)। সেজন্য বিএনপিসহ বিভিন্ন দল থেকে প্রার্থীদের বাগিয়ে আনার চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেনি দলটি। ৮৩ আসনে প্রার্থী দিলেও ভোটের চূড়ান্ত লড়াইয়ে ছিলেন দলটির ৫৬ প্রার্থী। এর মধ্যে আলোচনায় ছিলেন চারজন।

তাদের মধ্যে বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর প্রার্থী হয়েছিলেন ফরিদপুর-১ আসনে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কাছে বিপুল ভোটে হেরে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক এমপি জাফর। আসনটিতে নৌকার প্রার্থী আব্দুর রহমান ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের আরিফুর রহমান দোলন পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৯৮৯ ভোট। জাফর ২২ হাজার ৪৬৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

দলটির মহাসচিব ড. মুহাম্মদ শাহ্‌জাহান চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করে হেরে গেছেন। নির্বাচনে হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন

এবার সংসদে যেতে পারছেন না মসিউর রহমান রাঙ্গা

আসনটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুহম্মদ শফিকুর রহমান ৩৬ হাজার ৪৫৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়া পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৪২৫ ভোট।

নীলফামারী-১ আসনে নোঙ্গর এবার বিএনএমের প্রতীক নিয়ে লড়লেও পাত্তা পাননি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি জাফর ইকবাল সিদ্দিকী। আসটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৯০২ ভোট। আর জাফর ইকবাল সিদ্দিকী ১৩ হাজার ২২৪ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

পাবনা-২ আসনে সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী বিএনএমের হয়ে ভোটযুদ্ধে নামলেও মূল লড়াইয়ে সুবিধাই করতে পারেননি। বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগেই কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন তিনি। আসনটিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে আহমেদ ফিরোজ কবির ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৪২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। ডলি সায়ন্তনী পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৮২ ভোট।

এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর