সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

‘মুহূর্তে আগুন বেড়ে যায়, অনেক চিৎকার করছিলাম’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৪২ পিএম

শেয়ার করুন:

‘মুহূর্তে আগুন বেড়ে যায়, অনেক চিৎকার করছিলাম’
ফাইল ছবি

মো. সামিউন নূর ইসলাম। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে নেভাল আর্কিটেকচারে সদ্য পাস করেছেন। চুয়াডাঙ্গায় গ্রামের বাড়িতে বেড়িয়ে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি। 

ঢাকায় ফেরার উদ্দেশ্যে দর্শনা রেলস্টেশন থেকে বেলা সাড়ে ৩টায় উঠেছিলেন বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে। কিন্তু ভালোভাবে তার ঢাকায় ফেরা হয়নি। ঢাকায় ঢোকার পথে রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় ট্রেনটিতে আগুন লেগে যায়। এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


ট্রেনের যেসব কামরায় আগুন লেগেছিল, সেগুলোর একটিতে ছিলেন সামিউন নূর। তিনি রাতে সাংবাদিকদের বলেন, কামরার পেছনের দরজার কাছে বসেছিলাম। আগুন ধরেছিল সামনের দিকে। রাত ৯টা ৪ মিনিটের দিকে কামরায় আগুন ধরলে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত ল্যাপটপের ব্যাগটা নিয়ে দরজায় চলে যাই। এ সময় সবাই পরের বগিতে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। কারণ, মুহূর্তে আগুন বেড়ে যাওয়ায় সবার নিশ্বাস নিতেও অসুবিধা হচ্ছিল। কোনো গ্যাস বা কিছু দিয়েছিল, যার জন্য নিশ্বাস নিতে পারছিলাম না।

আরও পড়ুন

গোপীবাগে ট্রেনে আগুনে নিহত ৪

সামিউন এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘অনেক চিৎকার করছিলাম, আগুন লেগেছে, থামান বলে। আমার জ্ঞান সম্ভবত সম্পূর্ণ ছিল না। কেউ চেইনও টান দেয়নি। পরে দুইজন লাফ দিল, আমি দেইনি। কারণ ভেবেছি, লাফ দিলেও মারা যাব। এদিকে আগুন আমার অব্দি চলে এসেছিল। ট্রেন ২ থেকে ৩ মিনিট পর থামলে আমি আর দাঁড়াইনি।’

ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে সামিউন আরও লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ বাঁচাইছে। আমার একটা ব্যাগ বাদে সব ঠিক আছে। তবে নিশ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছিল। অনেক সময় ধরে কালো কালো কাশি উঠছিল।’ 


বিজ্ঞাপন


উল্লেখ্য, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ৮টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১০টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দুর্বৃত্তদের দেওয়া এ আগুনে চারজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর