শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

বনশ্রীতে গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তিন মামলা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:১৫ পিএম

শেয়ার করুন:

বনশ্রীতে গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তিন মামলা

রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় গৃহকর্মী আসমা বেগমের মৃত্যুর ঘটনার ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশের ওপর হামলা ও বাসাটিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুটি পৃথম মামলা হয়েছে। এই মামলা দুটির একটি বাদী পুলিশ ও অপরটির বাদী হয়েছে বাসার মালিকের গাড়ি চালক। 

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে নিহতের ছেলে, পুলিশ ও বাসার মালিকের চালক বাদী হয়ে রামপুরা থানায় তিনটি পৃথক মামলা করেন। অপমৃত্যু মামলা বাদে বাকী দুটিতে হাজারের ওপর আসামি অজ্ঞাত উল্লেখ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


সোমবার (০১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটায় ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামপুরা থানার ওসি মশিউর রহমান।

ওসি মশিউর বলেন, এ ঘটনায় রোববার রাতেই তিনটি মামলা হয়েছে। একটি করেছে আসমার ছেলে আজিজুল। অন্য দুটির মধ্যে একটির বাদী পুলিশের এসআই কামরুল ইসলাম ও বাসার মালিকের চালক উজ্জল ভুঁইয়া। আমরা পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করব। ইতোমধ্যে কয়েকজকে শনাক্তও করা হয়েছে। 

রামপুরা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অপমৃত্যু বাদে বাকী দুটির একটিতে পুলিশের কাজে বাধা, তাদের ওপর হামলা ও আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও আরেকটি বাসাটির নিচের গ্যারেজে আগুন দিয়ে তিন প্রাইভেটকার ও একটি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দিয়ে ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ এনেছেন বাদী উজ্জল।  

বাসাটির মালিক দেলোয়ার হোসেন একজন সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা। তিনি বর্তমানে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। তার দুই মেয়ে ও দুই ছেলে। তার মধ্যে তুবা নামের এক মেয়ের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন আসমা। মালিক দেলোয়ারের দাবি, আসমা মানসিক সমস্যা ভুগছিলেন।


বিজ্ঞাপন


 

রোববার সকালে বনশ্রী এলাকার ডি ব্লকের চার নম্বর সড়কের ৩২ নম্বর বাসার সামনে থেকে আসমা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহকর্মীর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে সেখানে পুলিশ গেলে উত্তেজিত জনতা তাদের ওপর হামলা চালায়। তাদেরক তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে রিজার্ভ পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। ততক্ষণে বাসার নিচে থাকা গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেয় উৎসুক উত্তেজিত লোকজন। আগুনে গ্যারেজের নিচে থাকা তিনটি প্রাইভেটকার ও একটি মোটরসাইকেল পুড়ে যায়। এছাড়াও বাসাটির দ্বিতীয় তলার এক নারী ও শিশু আহত হন। কিন্তু পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে থাকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে।

দুপুর ১২টা পর্যন্ত উত্তেজিত জনতার সাথে দফায় দফায় চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে টিয়ারসেল ও শর্ট রাউন্ডের গুলি পর্যন্ত ছুঁড়তে বাধ্য হয়। পরে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। এরপর গৃহকর্মী আসমার লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় বাদী হয়ে নিহতের ছেলে আজিজুল একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। যদি শুরু থেকে অভিযোগ ওঠে, আসমাকে হত্যার পর ছাদ থেকে বাসার নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই অভিযোগের এখনো কোনো সত্যতা পায়নি পুলিশ। 

এমআইকে/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর