শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

পীরগঞ্জের মিয়া পরিবারে আনন্দঘন একদিন

ঢাকা মেইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২০ পিএম

শেয়ার করুন:

পীরগঞ্জের মিয়া পরিবারে আনন্দঘন একদিন
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার কবর জিয়ারত করেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পীরগঞ্জের লালদীঘি ফতেহপুরের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের জন্য মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) ছিল খুশির দিন। অনেক দিন পরে মিয়া পরিবারের বধূ এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জয়সদনে নিকটাত্মীয়দের সাথে মিলিত হন।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা এই প্রথম তাঁর বড়বোনের শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছেন। এ কারণে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিল বাড়তি আনন্দ। আর পীরগঞ্জেও এটি ছিল শেখ রেহেনার প্রথম সফর।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার সকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নেমে সড়কপথে তারাগঞ্জের জনসভা, মিঠাপুকুরের পথসভা শেষে দুপুরে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফতেহপুরে পৌঁছে পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত তাঁর প্রয়াত স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবর জিয়ারত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে তিনি লালগালিচার ওপর দিয়ে নিজের বাসভবন জয়সদনে প্রবেশ করেন। এ সময় পরিবারের সদস্যরা (শ্বশুরবাড়ি) গোলাপ ফুল দিয়ে বধূমাতাকে বরণ করেন।

আরও পড়ুন

‘হামাক একখান ভোট দিবান না’ 

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোহরের নামাজ পড়েন। নামাজ শেষে দুপুরের খাবার খান। এ সময় ভাতিজি, ভাতিজা বৌ, নাতি-নাতনিরা প্রধানমন্ত্রীকে দেশীয় প্রজাতির মাছ টেংরা, ময়া, গচি, শিং, মাগুর, কই, চিংড়ি এবং বোয়াল, রুই, কাতলা, আইড় মাছ-সহ ১১ পদের মাছ, গরু, খাসি, মুরগি, হাঁস, কবুতরসহ পাঁচ পদের মাংস পরিবেশন করেন। পাশাপাশি রংপুরের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খাবার সিঁদল, কুমড়া বড়াসহ আলু, টমেটো, টাকি মাছ মিলে পাঁচ পদের ভর্তা, শাখ, মাছের চচ্চড়ি, কুলি পিঠা, তেল পিঠা, রসবড়া, পায়েস, পুডিং, খেজুর গুড়ের মিষ্টিসহ বাহারি রকমের খাবার পরিবেশন করেন। এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

PP2

আরও পড়ুন

স্বামীর কবর জিয়ারত করলেন শেখ হাসিনা 

দুপুরের খাবারের পর পরিবারের স্বজনদের সাথে ঘণ্টাখানেক সময় কাটান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী মরহুম ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার মরহুম বড়ভাই আব্দুল খালেক মিয়ার বড় ছেলে ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদত হোসেন বকুল (ভাতিজা), বকুলের সহধর্মিনী রোকসানা বকুল (ভাতিজা বৌ) ও মেয়ে শাবাবা হোসেন অহি (নাতনি), বকুলের অপর তিন ভাইয়ের স্ত্রী শামিম সাজ (ভাতিজা বৌ), ফেরদৌসি বেগম (ভাতিজা বৌ), সেলিনা ইয়াসমিন (ভাতিজা বৌ), মরহুম খালেক মিয়ার দুইকন্যা খুকুমনি (ভাতিজি) ও মনিরা (ভাতিজি), মনিরার জামাই মাজহারুল ইসলাম (ভাতিজি জামাই), প্রয়াত বিজ্ঞানীর অপর বড়ভাই মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ কানু মিয়ার দুই ছেলে ইঞ্জিনিয়ার সাইদ রেজা শান্তু (ভাতিজা), নানতু (ভাতিজা), কন্যা আইরিন ও মুক্তি (ভাতিজি), আইরিনের জামাই আমিরুল ইসলাম (ভাতিজি জামাই), প্রয়াত ওয়াজেদ মিয়ার নাতনি গাইবান্ধা সদর আসনের সংসদ সদস্য রওশন আরা বেগম গিনিসহ মিয়া পরিবারের অনেক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। -বাসস

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর