শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

হানি ট্র্যাপের ফাঁদ, ঘনিষ্ঠ হলেই সর্বনাশ!

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৭ পিএম

শেয়ার করুন:

হানি ট্র্যাপের ফাঁদ, ঘনিষ্ঠ হলেই সর্বনাশ!
ডিবির হাতে গ্রেফতার দুই যুবক। ছবি: সংগৃহীত

ভার্চুয়াল দুনিয়ায় হানি ট্র্যাপের ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। গত কয়েক বছর ধরে একটি চক্র সক্রিয়। সবশেষ চক্রটির বাংলাদেশে থাকা দুই এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সাইবার ক্রাইম অ্যান্ড স্পেশাল (দক্ষিণ) বিভাগ। অনলাইনে তাদের ঘনিষ্ঠ হলেই সর্বনাশ বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন টিপু সুলতান ও মোসলেম রানা। গত বুধবার রাজধানীর বনানীর কড়াইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।


বিজ্ঞাপন


রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পাকিস্তান ও ভারতের নাগরিক ও বাংলাদেশিরা মিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন ভার্চুয়াল দুনিয়ার ফাঁদ হানি ট্র্যাপ। আড়ালে থাকা চক্রের সদস্যরা সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে ফাঁদে ফেলে সাধারণ ছবি এডিট করে আপত্তিকর ছবি বানিয়ে  ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেয়। এই চক্রের বাংলাদেশি দুই এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন

সখ্য গড়ে চুরি, হিজড়াসহ গ্রেফতার ৪ 

হারুন জানান, অনলাইনে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে কথা বলার নামে ভিডিওকলে আসে। অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও নিয়ে সেগুলো এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত তারা। চক্রের ফাঁদে পড়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়েছেন।

ডিবি জানায়, চক্রটির সদস্যরা ফেসবুকে ভারতীয় শিক্ষার্থী পরিচয়ে বাংলাদেশি তরুণের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। পরে উভয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে নিয়মিত ভিডিওকলে কথা বলার সময় বেশকিছু ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখে। পরে সেগুলো দিয়ে চক্রটির সদস্যরা বাংলাদেশি তরুণদের ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে। কারও কাছ থেকে লাখ টাকা আবার কারও কাছ থেকে তার চেয়েও বেশি টাকা আদায় করে। এমন ঘটনার শিকার হন রাজধানীর হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ ও তিতুমীর কলেজের স্নাতকের দুই শিক্ষার্থী। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে চক্রটির বাংলাদেশে থাকা দুই এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা পাকিস্তান ও ভারতীয়দের কাছে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে আদায় করা টাকা পাঠাতেন। এরপর সেই টাকার ২৫ শতাংশ ভাগ পেতেন তারা। এভাবেই চলছিল তাদের ব্ল্যাকমেইলিং।

এমআইকে/জেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর