আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়াদের মধ্যে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ২১৬ জন। গত চার দিনে নির্বাচন কমিশন শুনানি শেষে তাদের প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা করে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) চতুর্থ দিনে ৪৮ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এছাড়া তৃতীয় দিনে ৬১ জন, দ্বিতীয় দিনে ৫১ জন এবং প্রথম দিন ৫৬ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফেরত পান।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন গত চার দিন আপিল শুনানিতে এই সিদ্ধান্ত দেন। এ সময় প্রার্থীদের পক্ষে তার আইনজীবীরা ও প্রার্থীরা সশরীরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে দাখিলকৃত দুই হাজার ৭১২টি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা বিভিন্ন কারণে ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন এবং এক হাজার ৯৮৫টি গ্রহণ করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১ জন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল দায়ের করেন। এসব আপিল আবেদন বিষয়ে ১০ ডিসেম্বর থেকে শুনানি শুরু হয়েছে। চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রায়ে সন্তুষ্ট না হলে প্রার্থীদের উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টায় আপিল শুনানি শুরু হয়, চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আজ ১০৩ জন প্রার্থীর আপিল শুনানি হয়। শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৪৮ জন। এছাড়া ৫৩ জন প্রার্থীর আপিল নামঞ্জুর করে ইসি দুইজন প্রার্থীর বিষয়ে আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি রোববার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে, মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয় গত ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রগুলো যাচাই-বাছাই হয়, রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ৯ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর রোববার। রিটার্নিং অফিসাররা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর সোমবার।
নির্বাচনী প্রচার চলবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার ও ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছে কমিশন। দেশের ৪২ হাজার ভোট কেন্দ্রের দুই লাখ ৬২ হাজার বুথে এবার প্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
জেবি