ফাতেমা আক্তার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ (বাঙলা কলেজ) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী। চলমান অবরোধের মধ্যেই শুরু থেকে চলছে তাদের ফাইনাল পরীক্ষা। কেন্দ্র দূরে হওয়ায় যেতে হয় বাসে। পরিবহনের কন্ড্রাক্টর অবরোধের দোহাই দিয়ে হাফ পাস নিতে নারাজ।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) তার সাথে তিতুমীর কলেজের সামনে কথা হয় প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, অবরোধের প্রথম দিকে মিরপুর থেকে বাস পেতে একটু সময় লাগতো। বর্তমানে প্রচুর বাস চলছে। সড়কও কিছুটা ফাঁকা। অল্প সময়ে চলে আসা যায়। কিন্তু শিক্ষার্থী পরিচয় দিলেও হাফ পাস নিতে চায় না কন্ড্রাক্টর।
বিজ্ঞাপন
এ সময় কথা হয় বিউটি রাণী বর্বণ নামে আরেক শিক্ষার্থীর সাথে। তিনি পরীক্ষা দিতে আসেন গাজীপুর থেকে। ঢাকা মেইলকে বলেন, রাস্তায় বাসের কোনো সঙ্কট নেই। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে অল্প সময়ে চলে আসে বাস। অবরোধের কথা বলে তারা বলে- অবরোধে হাফ পাস নেই।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
আজিমপুর রুট হয়ে চলা দেওয়ান পরিহনের এক কন্ড্রাক্টরের সাথে কথা হয় গুলশানে। হাফ পাস না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বলেন, জীবন হাতে নিয়ে বের হয়েছি। যেকোনো সময়ে আগুনে পুড়তে পারি। রাস্তায় যাত্রীও কম। এর মধ্যে হাফ পাস নিলে পোষায় না। কন্ড্রাক্টর যখন কথা বলছিলেন তখন বাসটিতে যাত্রীতে পরিপূর্ণ ছিল।
বিএনপিসহ সমমনা সরকারবিরোধী দলগুলোর ডাকা কয়েক দফার অবরোধে সারাদেশে বাস-মিনিবাস চালানোর ঘোষণা দিয়ে আসছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। যার প্রভাবও দেখা গেছে, ঢাকার সড়কে। এ সময় ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ছিল চোখে পড়ার মতো গণপরিবহন।
ট্রাফিক সিগনালেও দেখা গেছে পুলিশের ব্যস্ততা। কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বের হওয়া যাত্রীরা সহজেই গন্তব্যস্থলে যেতে পারছেন।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হরতাল-অবরোধসহ বিরোধী দলগুলোর ‘অগ্নিসন্ত্রাসে’ ক্ষতিগ্রস্ত বাস মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্টরা।
ডিএইচডি/এইউ