বিএনপি-জামায়াতসহ সরকারবিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) ভোর ছয়টা থেকে দুই দিনের অবরোধ শুরু হয়।
পঞ্চম দফার সর্বাত্মক অবরোধের প্রথম দিনে রাজধানীর সড়কে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। অবরোধের অন্যান্য দিনের তুলনায় বাসসহ ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ ছিল লক্ষ্যণীয়। গাড়িতে অফিসগামী যাত্রীও ছিল অনেক। সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের চলাচলও বেড়েছে। গাড়ির চাপে কোথাও কোথাও যানজটও দেখা যায়। তবে যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
বিজ্ঞাপন
সকাল ১১টার দিকে বিমানবন্দর-যাত্রাবাড়ী সড়কের বাসাবো এলাকায় গেল কয়েক দিনের অবরোধের দিনের তুলনায় গাড়ির আধিক্য দেখা গেছে। তবে স্বাভাবিক দিনের মতো নয়। স্টপেজগুলোতেও গাড়ির জটলা দেখা যায়। কিছুক্ষণ পরপরই আসছে এই রুটে নিয়মিত চলাচল করা বাসগুলো। তবে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা দেখা গেছে।
যাত্রীরা বলছেন, নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। সেজন্য তাদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে।
মুগদা বিশ্বরোড থেকে মতিঝিল যাওয়ার সময় লেগুনায় ওঠেন বেসরকারি চাকরিজীবী মারুফ। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, ‘সামনে দিন-দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। বিএনপি তো মনেহয় নির্বাচনে যাবে না। নির্বাচনের ডেট হলে আরও খারাপ সিচ্যুয়েশন তৈরি হবে।’
তার পাশে থাকা আরেক যাত্রী বলেন, ‘প্রতিদিন গাড়ি পোড়াচ্ছে। আইজকে এখানে কালকে ওখানে হুটহাট গাড়িতে আগুন দিতাছে। গাড়িতে উঠতে ভয় লাগে।’
বিজ্ঞাপন
বাসাবোতে দুপুর ১২টার দিকে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন রাশেদুল ইসলাম। উত্তর বাড্ডা যাওয়ার জন্য সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।
রাশেদুল বলেন, অবরোধে গাড়িতে উঠতে সবসময় ভয় কাজ করে। কম দূরত্ব হলে সাধারণত হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে উত্তর বাড্ডা যাইতে হচ্ছে। যার ফলে গাড়ি ছাড়া উপায় নেই। কী আর করার আতঙ্ক নিয়েই যেতে হবে।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ নানা দাবিতে অনেকদিন ধরেই আন্দোলন করছে বিএনপি। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে নামা অন্য দলগুলোও একই কর্মসূচি পালন করছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার ভোর ছয়টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে সরকারবিরোধী দলগুলো।
ভোর থেকে অবরোধ শুরু হলেও গতরাতে রাজধানীতে বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ২৮ অক্টোবরের পর শতাধিক গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এজন্য মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে।
টিএই/এমআর