খুন-দুর্নীতি ছাড়া বিএনপি কিছুই জানে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নৌকা মার্কা যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের উন্নতি হয়েছে। আমরা দেশের উন্নয়ন করি। আর বিএনপি-জামায়াত ধ্বংস করে। তারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে। খুন করা ছাড়া বিএনপি কিছুই জানে না। বঙ্গবঙ্গুকে হত্যায় জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর দুইটার দিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার কেইপিজেড মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এই জনসভার আয়োজন করে।
বিজ্ঞাপন
শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কা যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের উন্নতি হয়েছে। আমরা গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত রাস্তাঘাট করছি। আওয়ামী লীগ যা করছেন আগের কোনো সরকার তা করেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমরা দেশকে গড়ে তুলছি। আমি আপনাদের কাছে একটা উপহার নিয়ে এসেছি। নদীর তল দিয়ে গাড়ি চলে। ঘুটঘুট করে বাড়ি চলে যাবেন।
বিএনপির প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, জনগণের ভোটে ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন করছে। তাই আওয়ামী লীগকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না। আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়নে বিশ্বাস করে।
বিজ্ঞাপন
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আমলে এক বেলা ভাত জুটত না। এখন সেই ভাতের কষ্ট নেই। আমরা দারিদ্রের হার কমিয়ে এনেছি। বহুমুখী প্রকল্প নিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিচ্ছি।
টানেল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে যারা জড়িত ছিলেন তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আজ আমি আপনাদের আরও ১১টি প্রকল্প উপহার হিসেবে উদ্বোধন করে দিলাম। আজকের এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে গত নির্বাচনে আপনারা ভোট দিয়েছিলেন বলে।
তিনি বলেন, ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমি সবই হারিয়েছি। ছয় বছর দেশে আসতে দেয়নি জিয়াউর রহমান। একরকম জোর করেই দেশে ফেরা। আসার পর থেকে বাংলাদেশে মানুষের জন্য কাজ করছি। চাই, কীভাবে দেশের মানুষকে ভালো রাখা যায়।
আরও পড়ুন
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
সমাবেশে যোগদানের আগে পৌনে ১২টার দিকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। এরপর ১১টা ৫০ মিনিটে টানেলে প্রবেশ করেন। ৭ মিনিটে টানেল পাড়ি দিয়ে অপরপ্রান্তে পৌঁছান সরকারপ্রধান। পরে আনোয়ারা নদীর দক্ষিণ তীরে আরেকটি ফলক উন্মোচন করেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধন এবং প্রথম নদীর তলদেশে সড়ক টানেলের উদ্বোধন করেন।
এমআর