কোনো শিক্ষার্থী বিয়ে করলে হলে থাকতে পারবে না, কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোতলা বাসে ছাত্রীরা নিচতলায় বসবে এবং ছাত্ররা দোতলায় বসবে এমন সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
গত ২৫ সেপ্টেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র আবাসিক হলে থাকা বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের হল ছাড়তে নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। জবির বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ দীপিকা রাণী সরকারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের হল ছাড়তে বলা হয়।
কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক দাবি করে তথ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কীভাবে এ রকম সিদ্ধান্ত নেয়? এটা তো সৌদি আরব না।
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি কাগজে খবরটা দেখেছি। এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েছে জেনে খুব আশ্চর্য হয়েছি। ছাত্রীরা বিয়ে করলে হলে থাকতে পারবে না এমন সিদ্ধান্ত আমার দৃষ্টিতে একেবারেই অযৌক্তিক। পাশাপাশি এ যুগে বিশ্ববিদ্যালয় বাসে ছাত্রীরা এক জায়গায় বসবে, ছাত্ররা আরেক জায়গায় বসবে-সেটিও তো অবাস্তব একটি সিদ্ধান্ত।’
‘এ ধরণের সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ কীভাবে নেয় এটা আমার বোধগম্য নয়। আমি এটা শিক্ষামন্ত্রীর নজরে আনব। কারণ এর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ শিক্ষামন্ত্রী।’-বলেন মন্ত্রী।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত দিয়ে সরকার আইনের কোনো ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে না। এ নিয়ে বিএনপির কোনো বক্তব্য থাকলে তারা আদালতে যেতে পারে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে দেশে আর কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ মাঠে রয়েছে। ২০১৪ সালের মতো কোনো বিশৃঙ্খলা করলে প্রতিহত করা হবে।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নির্বাচন করতে পারবে না বলেই বিএনপি নির্বাচনে যেতে চায় না বলে দাবি করেন হাছান মাহমুদ।
এমআর

