সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সর্বজনীন পেনশন নিয়ে ‘অপপ্রচার’ ঠেকাতে নজরদারির নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ০৭:০৮ পিএম

শেয়ার করুন:

pm22

সম্প্রতি সরকারের নেওয়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্যোগ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে অভিযোগ করে এ ব্যাপারে নজরদারি জোরদার করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৮ আগস্ট) মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি এই নির্দেশনা দেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।


বিজ্ঞাপন


মন্ত্রিসভা বৈঠক সম্পর্কে জানাতে বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হয়েছে। এটা সাংঘাতিক রকম মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। ইতোমধ্যে ১০ হাজারের বেশি রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে। লাখেরও বেশি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। কিন্তু ঐতিহাসিক উদ্যোগটির বিপক্ষে মিথ্যা অপপ্রচার বা নেতিবাচক প্রচার চালানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী প্রকৃত তথ্য, সরকার কী করেছে, কী করতে যাচ্ছে, কীভাবে মানুষ উপকৃত হবেন এ ব্যাপারটা জনগণের কাছে উপস্থাপন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন।’

আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশনে কত জমা দিলে কত পাবেন?

মানুষ যাতে জেনেশুনে সর্বজনীন পেনশনে অংশগ্রহণ করে এবং কোনো ধরনের প্ররোচনা বা অপপ্রচারে প্রভাবিত না হয় সেদিকে খেয়াল প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথাও জানান সচিব।

দেশের নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে সর্বজনীন স্কিম চালু করেছে সরকার। গত ১৭ আগস্ট এ কর্মসূচির ছয়টি স্কিমের মধ্যে চারটি স্কিম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাকি দুটি পরে চালু করা হবে। এর মধ্যে ‘প্রবাস’ স্কিমটি প্রবাসীদের জন্য। ‘প্রগতি’ স্কিম চালু করা হয়েছে বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য। অনানুষ্ঠানিক খাত অর্থাৎ স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য রয়েছে ‘সুরক্ষা’। আর ‘সমতা’ স্কিমটি নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য। ১৮ বছরের বেশি দেশের চার শ্রেণির প্রায় ১০ কোটি মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেবে বলে আশা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশনের আবেদন করবেন যেভাবে

অর্থ বিভাগের সূত্রগুলো জানায়, যে দুটি পরে চালু করা হবে তার মধ্যে একটি শ্রমিক শ্রেণির জন্য, অন্যটি শিক্ষার্থীদের জন্য।

PP

পেনশন কর্মসূচি বা স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন একজন গ্রাহক। গ্রাহক মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের ৭৫ বছর বয়স হতে যত বছর বাকি থাকবে, সেই সময় পর্যন্ত নমিনি পেনশন তুলতে পারবেন। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যে কেউ পেনশন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। ৫০ বছরের বেশি বয়সীরাও বিশেষ বিবেচনায় পেনশনভুক্ত হতে পারবেন। তবে আজীবন বা ন্যূনতম ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত পেনশন সুবিধা পেতে কমপক্ষে একাধারে ১০ বছর নির্দিষ্ট হারে চাঁদা পরিশোধ করতে হবে।

আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশনে একটি সুদমুক্ত স্কিম চালুর আহবান শায়খ আহমাদুল্লাহর

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে গেলে ইউপেনশন ওয়েবসাইটে যেয়ে নিবন্ধন করতে হবে। যেসব প্রবাসীর বাংলাদেশের এনআইডি নেই, তারা বৈধ পাসপোর্টের ভিত্তিতে ব্যাংকিং চ্যানেল, অনুমোদিত মোবাইল আর্থিক পরিষেবা এবং এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা দিয়ে কর্মসূচিতে যুক্ত হতে পারবেন। নিবন্ধনের পর একটি নম্বর পাওয়া যাবে, যা দিয়ে চাঁদা পরিশোধসহ সব কাজ করা যাবে। গ্রামীণ পর্যায়ে নিবন্ধন করতে সহযোগিতা করবে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। এ কার্যক্রমকে আরও সহজ করতে শিগগির মোবাইল অ্যাপস চালু করবে পেনশন কর্তৃপক্ষ।

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর