সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

‘তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকার ইতিবাচক হলেও বাধা কোম্পানিগুলো’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৭:৪৫ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলেও তামাক কোম্পানিগুলোর হস্তক্ষেপ আইন বাস্তবায়ন ও সহায়ক নীতিমালা প্রণয়নে বাধা সৃষ্টি করছে। সামগ্রিক তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে তাদের এই হস্তক্ষেপের চিত্র দৃশ্যমান। তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ থেকে নীতি সুরক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনসহ সহায়ক নীতিগুলো চূড়ান্ত করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

সোমবার (২৪ জুলাই) ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের (বাটা) যৌথ উদ্যোগে ধানমন্ডি আবাহনী মাঠের সম্মুখে ‘তামাক কোম্পানির প্রভাব প্রতিহত করতে আইন ও নীতিসমূহ দ্রুত চূড়ান্ত করা হোক’ শীর্ষক একটি অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


বক্তারা বলেন, তামাকের সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে কোম্পানিগুলো জনগণ, গণমাধ্যম ও সরকারের নীতিনির্ধারনী পর্যায়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। গবেষণায় দেখা গেছে, সমাজের সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে তামাক সেবনের (ধূমপান) প্রবণতা কমিয়ে আনতে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা  সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা কার্যকর। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তারা কেবল তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রি বাড়ায় না বরং অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের মতো একটি সাধারণ পণ্য হিসাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে। যা কেবল ক্ষতিকর এ পণ্যের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতাই বাড়ায় না বরং তামাক ব্যবহারের ক্ষতি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার পদক্ষেপকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।

বক্তারা আরও বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংশোধনের যে খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে তার পক্ষে মতামত দিয়েছে দেড় শতাধিক সংসদ সদস্য ও ১৬ হাজার সাধারন মানুষ। কিন্তু সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রচেষ্টায়ও নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে তামাক কোম্পানি। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন পয়েন্ট অফ সেলে আইন অমান্য করে বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছে তারা।

কর্মসূচি থেকে নীতি সুরক্ষায় এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ অনুযায়ী প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে নিজস্ব আচরণ বিধি প্রণয়নের দাবি জানানো হয়। তামাকের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি থেকে সুরক্ষায় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন পাস করাসহ অন্যান্য সহায়ক নীতি চূড়ান্ত করার দাবি জানান।

অবস্থান কর্মসূচিতে আরও অংশ নেন নাটাব, শূচীতা, শিশুদের মুক্ত বায়ু সেবন সংস্থা, কসমস, ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম, অ্যাক্টিভেট সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, শিল্ড, কেরানীগঞ্জ হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, অপ্সরি ওয়েম্যান ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, দিশারি মহিলা কল্যাণ সমিতি, শিউলী মহিলা উন্নয়ন সংস্থা এর কর্মকর্তাসহ ইনস্টিটিউট অফ ওয়েলবিং এবং ডাব্লিউবিবি এর অন্যান্য কর্মকর্তারা।


বিজ্ঞাপন


ডিএইচডি/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর