স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তি যারা জিম করেন কিংবা পেশিবহুল বডি বানাতে চান তাদের কাছে হোয়ে প্রোটিন পরিচিত নাম। সুপারফুড হিসেবে বর্তমানে এটি বেশ জনপ্রিয়।
হোয়ে প্রোটিন কী?
বিজ্ঞাপন
এটি সম্পূর্ণরূপে একটি দুগ্ধজাত প্রোটিন। পনীর কিংবা ছানার পানি থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হোয়ে প্রোটিন প্রস্তুত করা হয়। দুধ থেকে আরেকটি প্রোটিন তৈরি হয় যা ক্যাসিন প্রোটিন নামে পরিচিত। এটি পনীর কিংবা ছানা থেকে প্রস্তুত করা হয়।

সাধারণত গরুর দুধে ৮০% ক্যাসিন প্রোটিন এবং ২০% হোয়ে প্রোটিন থাকে। মানুষের বুকের দুধে ৬০% হোয়ে প্রোটিন এবং ৪০% ক্যাসিন প্রোটিন থেকে থাকে। তবে ক্যাসিন প্রোটিনের তুলনায় হোয়ে প্রোটিনে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড থাকে। এই উপাদানটিই দেহের বৃদ্ধি ও পেশী মজবুত করতে সাহায্য করে।
হোয়ে প্রোটিনের কাজ কী?
বিজ্ঞাপন
পুষ্টিবিদদের মতে, মানবদেহের প্রয়োজনীয় নয়টি অ্যামিনো অ্যাসিডের সমন্বয়ে তৈরি হয় এই হোয়ে প্রোটিন। এটি দেহের পেশিগুলোকে মজবুত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত হোয়ে প্রোটিন গ্রহণে শারীরিক শক্তি ও ক্ষমতার বৃদ্ধি হয়। এর মাধ্যমে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা তাড়াতাড়ি মেটে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী দুধ, দই, পানি, ফলের রস ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়ে হোয়ে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া হয়। সাধারণত শারীরিক অনুশীলনের আগে বা পরেই এটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

হোয়ে প্রোটিনের প্রকারভেদ
হোয়ে প্রোটিন মূলত তিন প্রকারের হয়ে থাকে। এগুলো হলো-
হোয়ে প্রোটিন কনসেনট্রেট: এতে ২৫-৮৯ শতাংশ প্রোটিন থাকে। যারা সদ্য শারীরিক অনুশীলন শুরু করেছেন, তাদের জন্য এটি উপযুক্ত।
হোয়ে প্রোটিন আইসোলেট: এতে ৯০-৯৫ শতাংশ প্রোটিন থাকে। ল্যাকটোজ ও ফ্যাট খুব কম মাত্রায় থাকে।
হাইড্রোলাইজড হোয়ে প্রোটিন: উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি হয় এটি। সাধারণত শিশুদের ফর্মুলা জাতীয় দুধে এই হাইড্রোলাইজড হোয়ে প্রোটিন ব্যবহার হয়।

হোয়ে প্রোটিনের উপকারিতা
অন্যান্য প্রোটিনের তুলনায় হোয়ে প্রোটিনের উপকারিতা বেশি। বয়স বৃদ্ধির ফলে হওয়া পেশির ক্ষয় রোধ করে এটি। পাশাপাশি ওজন কমাতে, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এর তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীর কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট সময়ে সীমিত পরিমাণ প্রোটিনই গ্রহণ করতে পারে। তাই অবশ্যই পুষ্টিবিদ বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে নির্দিষ্ট পরিমাণে এটি খেতে হবে। লিভার বা কিডনির সমস্যা থাকলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
এনএম

