বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

ইফতারে কেন ভাজা‌পোড়া খে‌তে ইচ্ছে ক‌রে?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৪:২২ পিএম

শেয়ার করুন:

ইফতারে কেন ভাজা‌পোড়া খে‌তে ইচ্ছে ক‌রে?

পবিত্র মাহে রমজানে বাংলাদেশিরা ইফতারে ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, কাবাবসহ বিভিন্ন মুখরোচক ভাজাপোড়া খাবার খেয়ে থাকে। ইফতারের প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠে এই খাবার। শুধুমাত্র বাড়িতেই নয়, খাবারের দোকানগুলোতেও এমন মশলাদার ইফতারি বিক্রি করা হয়। কিন্তু বছরের অন্যান্য সময় এই ধরণের খাবার তেমন খাওয়া হয়না। তাহলে ইফতারে কেন ভাজা‌পোড়া খাওয়া হয়?

ইসলামী ইতিহাসবিদরা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে এই উপমহাদেশে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর আগমন ঘটে এবং শাসন করে। ফলে তাদের খাবারের সংস্কৃতি এই অঞ্চলের মানুষের খাদ্য তালিকায় জায়গা করে নেয়। আর এভাবেই বাংলাদেশে ইফতারের খাবারের তালিকায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের খাবারের সংস্কৃতির মিশ্রণ রয়েছে।


বিজ্ঞাপন


খেজুর

হযরত মোহাম্মদ (সা:) খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তাই ইফতারে খেজুর খাওয়াকে সুন্নত বলে মনে করা হয়। মূলত এই কারণে ইফতারের সময় সারা বিশ্বের রোজাদাররা খেজুর খেয়ে থাকেন।

ছোলা

এটি আফগানদের প্রিয় খাবার। তারা কাবুলি ছোলা খেয়ে থাকে। সেখান থেকেই বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে এটি খাওয়ার প্রচলন হয়েছে। তবে এদেশে এসে সেটা আরও মশলাদার হয়ে গেছে। অর্থাৎ এটি আরও মুখরোচক করে রান্না করা হয়। তবে সঙ্গে মুড়ি খাওয়ার প্রচলন এই অঞ্চলের মানুষেরই উদ্ভাবন।


বিজ্ঞাপন


iftarপেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ

এগুলো উত্তর ভারত থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন এলাকার খাবারে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ইসলামী ইতিহাসবিদরা।

তারা বলছেন, ইফতারের সময় মুখরোচক খাবারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন ভাজাপোড়া যেমন— পেঁয়াজু, বেগুনি, বিভিন্ন ধরনের চপ ইত্যাদি খাওয়ার প্রচলন হয়েছে মূলত উত্তর ভারত থেকে। সেটাই পরবর্তীতে বাংলাদেশিরা গ্রহণ করেছে।

কাবাব, হালিম, বিরিয়ানি

মুঘল খাবারের মধ্যে পারস্যের খাবারের প্রভাবটা অনেক বেশি ছিল। তারা ইফতারে বিরিয়ানি, কাবারের মতো খাবার খেতো। আর সেখানে থেকে এই অঞ্চলের বনেদি মানুষজনও ইফতারে এসব খেতে শুরু করেন।

মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যেমন— ইরান, আরব আমিরাত, সৌদি আরব ইত্যাদিতে এখনও ইফতারির সময় কাবাব, বিরিয়ানি, মাংস ইত্যাদি খেয়ে থাকে।

iftarইফতারে ভাজা‌পোড়া খাওয়ার ইচ্ছে নিয়ে যা বলছেন পুষ্টিবিদরা

পুষ্টিবিদরা বলছেন, ভাজাপোড়া খাওয়ার পেছনে বিশেষ কোন কারণ বা পুষ্টিমান নেই। তবে এই অঞ্চলের মানুষ মুখরোচক, তেলেভাজা খাবার খেতে পছন্দ করে। আর দীর্ঘসময় না খাওয়ার ফলে মুখের রুচি ফেরাতে এই ধরনের খাবারের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। তাই ইফতারিতে মুখরোচক ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া হয়ে থাকে।

ইফতারে ভাজাপোড়া খাবার মুখরোচক হলেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় বলেই মনে করেন পুষ্টিবিদরা। তবে এখনও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ইফতারের খাবারে ভিন্নতা রয়েছে। অনেকে ভাজাপোড়ার পরিবর্তে খেজুর ও শরবত খেয়ে ইফতারি করার পরপরই ভাত খেয়ে থাকেন।

সূত্র: বিবিসি

এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর