জনপ্রিয় একটি পানীয় কফি। এতে রয়েছে ক্যাফেইন। ফিমেলফার্স্ট ডটকো ডটইউকে’র এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশিকা অনুসারে শরীরে দৈনিক ৪০০ মি.গ্রাম ক্যাফেইন নেওয়া যেতে পারে।
স্বাস্থ্যের জন্য কিন্তু কফি উপকারি। নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট পরিমাণ কফি পান করলে তা উপকারই করে। কফিতে রয়েছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, যা তাড়াতাড়ি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। বিশেষত ব্ল্যাক কফি। এটি শরীরের বিপাকীয় হার বাড়ায়।
বিজ্ঞাপন
খিদা কমায়, শক্তি বাড়ায়
কফি খেলে চট করে খিদে পেয়ে যাওয়ার প্রবণতা বন্ধ হয়। এটি শারীরিক শক্তিও বাড়াতে সাহায্য করে
স্ট্রোকের আশঙ্কা কমায়
বিজ্ঞাপন
রোজ ২ কাপ কফি, ধৈর্য ও কাজের গতি বাড়াতে সহায়ক। নিয়মিত কফি পান করলে স্ট্রোকের আশঙ্কা কমে। এটি বাতের সমস্যা কমায়।
খেলাধুলায় উন্নতি ঘটায়
কফি খেলে খেলাধুলায় প্রাণ পাওয়া যায়। হৃদপিণ্ডের গতি বাড়ালেও এটি শরীরে উদ্যম ও উৎসাহ তৈরি করে। তাই যে কোনো খেলার আগে কফি পান শরীরে আলাদা শক্তি মেলে।
মানসিক শক্তি বাড়ায়
গবেষণায় দেখা গেছে মানসিক চাপের সময়, ২০০ মি.গ্রাম ক্যাফেইন শরীরে গেলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে প্রমাণ মিলেছে আলঝেইমার (স্মৃতিভ্রংশ) রোগের ক্ষেত্রে ক্যাফেইন বিশেষ উপকারী পদার্থ।
যকৃত ভালো রাখে
অ্যালকোহল সেবন ও স্থূলতা, যকৃতে মেদ জমার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ব্যথার পাশাপাশি যকৃতের অতিরিক্ত মেদ থেকে হতে পারে লিভার সিরোসিস। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো কোনো সময় লিভার বা যকৃতের মেদ কমাতে ক্যাফেইন কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
মন চাঙ্গা রাখে
ক্যাফেইনের ঘ্রাণ মনকে অনেকখানি চাঙ্গা করে দেয়। পেটে কফি পড়লে মনের বিষাদভাব কাটতে বেশি সময় লাগে না।
সাবধানতা জরুরি
উপকারি হলেও কফি পানে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত সকালে খালি পেটে কফি পান থেকে বিরত থাকা উচিত। খালি পেটে কফি পানে পাকস্থলিতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। পাকস্থলীতে প্রচুর পরিমাণে এই অ্যাসিড জমলে হজমজনিত সমস্যা হতে পারে।
এনএম