মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

চকলেট কীভাবে তৈরি হয়? 

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৫৫ এএম

শেয়ার করুন:

চকলেট কীভাবে তৈরি হয়? 

বিশ্বজুড়ে অন্যতম পছন্দনীয় খাবার চকলেট। কোকো গাছের বীজ থেকে তৈরি হওয়া নানা প্রকার প্রাকৃতিক ও প্রক্রিয়াজাত খাবারকেই চকলেট বলা হয়। জানলে অবাক হবেন, প্রতিদিন সারাবিশ্বের মানুষের চাহিদা মেটাতে ৩ কোটি টনের অধিক কোকো বা কোকোয়া বীজের প্রয়োজন পড়ে।

কোকো গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Theobroma cacao। এটি দক্ষিণ আমেরিকার অ্যামাজন ও ওরিনোকো নদীর অববাহিকার স্থানীয় উদ্ভিদ। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবর্তীতে অন্যান্য দেশেও এর চাষ শুরু হয়। বিশেষত পশ্চিম আফ্রিকা, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে এই গাছের চাষ দ্রুত বিস্তার লাভ করে। 


বিজ্ঞাপন


বর্তমানে শতকরা ৭৯ ভাগ কোকো উৎপাদিত হচ্ছে ঘানা, আইভরিকোস্ট, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রাজিলে। এছাড়াও মালয়েশিয়া, দক্ষিণ ভারত ও উরিষ্যা রাজ্যেও কোকো চাষ শুরু হয়।

চকলেট কীভাবে এলো? 

কে কখন কীভাবে প্রথম কোকো থেকে চকলেট তৈরির উপায় আবিষ্কার করেছিলেন তা জানা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের স্মিথসোনিয়ার ন্যাশনাল মিউজিয়ামের কালচারাল আর্ট কিউরেটর হায়েস লেভিস জানান, খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ থেকেই প্রাচীন ওলমেক সভ্যতার মানুষেরা নৌযান ভরে কোকো ফল নিয়ে আসতেন।

ধারণা করা হয়, ওলমেকরা কোকো দিয়ে তাদের উৎসব-আয়োজনের বিশেষ পানীয় বানাতেন। অবশ্য ইতিহাসে যেহেতু এ কথা স্পষ্টভাবে লেখা নেই, ফলে এ সম্পর্কে দ্বিমত রয়েছে। কোনো কোনো ইতিহাসবিদদের মতে, ওলমেকরা স্রেফ তরল পদার্থ হিসেবেই কোকো বিনগুলো ব্যবহার করতেন কিংবা গুটিগুলো সাজিয়ে রাখতেন।


বিজ্ঞাপন


cocoকীভাবে চকলেট তৈরি হয়? 

প্রথমে কোকো বীজ ফার্মেন্টেশন বা গাঁজন করা হয়। গাঁজন করার সময় স্তূপীকৃত করে কলা পাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। এভাবে ৩-৭ দিন রাখার ফলে চকলেটের ঘ্রাণ উৎপন্ন হয়।

এরপর এই বীজ শুকানো হয়। ৩-৫ দিনের মধ্যে বীজ পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। এরপর বীজগুলোকে চকলেট ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হয়। সেখানে পরিষ্কার করা হয়। পরিষ্কার হয়ে গেলে ওভেনে রোস্টের মতো তাপে বীজগুলো ঝলসানো হয়। এসময় বীজের খোসাগুলো আলাদা হয়ে যায়। বেশকিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে অবশিষ্ট কিছু থাকে যাকে বলা হয় নিব। এই নিব থেকেই রোলারের মাধ্যমে তৈরি হয় চকলেট।

cocoচকলেটের ধরন 

সাধারণত ৩ ধরনের চকলেট তৈরি করা হয়ে থাকে। এগুলো হচ্ছে – 

কালো বর্ণের চকলেট (ডার্ক চকলেট)- এই চকলেটে পানীয়, ঘি, লেসিথিন, চিনি ও ভ্যানিলা থাকে। 

মিল্ক চকলেট- কালো বর্ণের চকলেটে যা থাকে সেগুলোর সাথে মিল্ক চকলেটে অতিরিক্ত চর্বি ও দুধ মেশানো হয়। 

সাদা চকলেট (হোয়াইট চকলেট)- সাদা চকলেটে মিল্ক চকলেটের সবগুলো উপাদানই থাকে। তবে চকলেটের পানীয় থাকে না। এখানে চকলেটের পানীয় না থাকায় অনেকে একে চকলেট হিসেবে মেনে নিতে চান না।

বানানোর উপায় যা হোক আর ধরন যতই হোক, চকলেট সবার কাছে বেশ জনপ্রিয় এবিষয়ে দ্বিমত নেই।

এনএম/এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর