সুস্থ এবং দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের সবচেয়ে বড় রহস্য বিশ্বাস। যেকোনো কারণে বিশ্বাস ভেঙ্গে যায়। কিন্তু এটি এতটাই শক্তিশালী যে দুইজন মানুষকে একসঙ্গে আবদ্ধ করে রাখে। সম্পর্কের শুরুতেই এই বিশ্বাস তৈরি করা একটি কঠিন কাজ। কিন্তু দুইজন একসাথে থাকলে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস তৈরি করা খুব বেশি কঠিন নয়।
কিছু কার্যকরী উপায় আছে যা সম্পর্কে বিশ্বাস স্থাপনে সাহায্য করে। অপরপক্ষের কাছে ভালোবাসা, সম্মানবোধ ও নিরাপদবোধ তৈরিতে সাহায্য করে। চলুন এমন কিছু উপায় সম্পর্কে জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন
একসঙ্গে কেন আছেন ভাবুন
সঙ্গীর সঙ্গে কেন একসঙ্গে আছেন তা চিন্তা করুন। একসঙ্গে থাকার কারণগুলো ঠিক কিনা তা নিশ্চিত করুন। সেইসাথে আপনার সম্পর্কের একটি ভিত্তি তৈরি করুন।
সম্মান করা জরুরি
আপনার যাকে ভালোবাসেন তাকে সম্মান করতে হবে। দুইজনের মধ্যে যতো বেশি সম্মান থাকবে, ভালোবাসা তত বেশি হবে। সঙ্গীর কোন আচরণ আপনার কাছে অসম্মানমূলক মনে হয় তা খুঁজে বের করুন। সেটি যেন সম্পর্কে ফিরে না আসে তা নিয়ে আলোচনা করুন। সম্পর্কে আস্থা বজায় থাকবে।
বিজ্ঞাপন
সিনেমা আর বাস্তব এক নয়
সিনেমার মতো রোম্যান্স প্রত্যাশা করবেন না। আপনার সম্পর্ক ও রোম্যান্স সম্পর্কে বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা রাখুন। মনে রাখবেন- সম্মান, বিশ্বাস আর মত প্রকাশের স্বাধীনতা মিলেই সত্যিকারের রোম্যান্স জন্ম দেয়।
পরিবারকে টানবেন না
নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পর্কে কখনো একে অপরের পরিবারকে টেনে আনবেন না। এটি প্রিয়জনকে অসম্মানের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চিহ্ন। যদি সম্পর্ক ভালো রাখতে চান তবে এই কাজটি কখনোই করবেন না।
অনুভূতি প্রকাশ করুন
যেকোনো বিষয়ে আপনি যা অনুভব করেন তা সবসময় সঙ্গীর কাছে প্রকাশ করুন। আপনি যদি কথা বলতে ভয় পান তবে এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে আপনার জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।
নিজের জন্য সময় রাখুন
সম্পর্কে দুজনের একান্ত সুন্দর মুহূর্ত কাটানো যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি নিজের জন্য সময় রাখাও জরুরি। দুজনই নিজের জন্য আলাদা সময় রাখুন। এসময় এমন কাজগুলো করুন যা আপনাকে খুশি রাখে।
পরিবর্তন স্বাভাবিক
মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আসবেই। যে মানুষটির প্রেমে পড়েছিলেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার মনের পরিবর্তন হতেই পারে। এই বিষয়টি মেনে নিতে হবে। পরিবর্তন হওয়া মানুষের স্বভাব। বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করুন।
একটি সম্পর্ক তখনই সুন্দর হয় যখন দুজনের মধ্যে বিশ্বাস আর আস্থা পুরোপুরি থাকে। সম্পর্কে সন্দেহ যেন বাসা না বাঁধে সেদিকে খেয়াল রাখুন। সুখী জীবন কাটাতে পারবেন।
এমএইচটি/এনএম