অনেকেরই পছন্দের পোশাকের তালিকায় রয়েছে জিন্স। যে কোনো লুকেই এই আউটফিটটি মানিয়ে যায়। অতি পরিচিত এই পোশাকটিতে রয়েছে অনেক ছোট ছোট ডিটেলিং। যার পেছনে রয়েছে ব্যাখ্যা। বেশিরভাগ মানুষ এগুলো খতিয়ে দেখে না।
ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন, জিন্সের ডানদিকের পকেটের ওপরে আরও একটি পকেট রয়েছে। সেই পকেটের ওপর ছোট ছোট মেটাল বোতামও যোগ করা হয়। সাধারণ দৃষ্টিতে একে ডিজাইন মনে হলেও, এর পেছনে রয়েছে লম্বা ইতিহাস।
বিজ্ঞাপন
জিন্সে ঠিক কতটি পকেট থাকে?
জিন্সে দুপাশে দুটো পকেট থাকে। এছাড়া পেছনে কখনও কখনও একটি পকেট এবং কখনও দুটো পকেট যোগ করা হয়ে থাকে। জিন্সের সামনের দিকে ডানদিকের পকেটের ওপরে আরও একটি বিশেষ পকেট দেওয়া হয়।
বর্তমানে এই পকেটটির তেমন কোনো প্রয়োজন না থাকলেও একসময় প্রাসঙ্গিকতা ছিল। বিশেষ এই পকেটকে বলা হয় ওয়াচ পকেট। ছোট ঘড়ি রাখা হত এই পকেটে।
বিজ্ঞাপন
পকেটের ওপর ধাতব বোতাম
খেয়াল করলে দেখবেন, জিন্সের সামনের পকেটগুলোর উপরে ছোট ছোট বোতাম যোগ করা হয়ে থাকে। অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে, কেন এই বোতাম দেওয়া হয়ে থাকে? মেটাল বা ধাতব এই বোতামগুলোকে বলা হয় ‘রিভাট’। লিভাইসের জিন্সে এই ধরনের মেটাল স্টাড দেখতে পাবেন আপনি। অন্য ব্র্যান্ডও তাদের জিন্সে এটি যোগ করে থাকে। তবে এই বিশেষ বোতামের প্রচলন লিভাইসের জিন্সেই প্রথম শুরু হয়।
তবে বর্তমানে অনেক ব্র্যান্ডই এমন ধাতব বোতাম ব্যবহারের পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছেন। অনেক ফ্যাশন এক্সপার্টের মতে, এই স্টাডের ব্যবহার একসময় বন্ধও হয়ে যেতে পারে। কারণ, স্টাইলিং ছাড়া এখন এই বোতামের কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই।
কেন দেওয়া হয় রিভাট, ইতিহাস কী?
প্রায় ১৫০ বছর ধরে ফ্যাশন দুনিয়ায় রাজত্ব করে আসছে এই জিন্স। জিন্স যাতে সহজেই ছিঁড়ে না যায়, সেজন্য বিশেষ বিশেষ স্থানে এই ধাতব স্টাড ব্যবহার করা হতো। আসলে একটি ওয়াশার বা ডিস্ককে প্রেসিং কিংবা হ্যামারিংয়ের মাধ্যমে জিন্সে ঢুকিয়ে দেওয়া হতো।
আরও পড়ুন-
নীল জিন্স পরা নিষিদ্ধ যে দেশে
সেই সময়ে কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা জিন্স পরে যেতেন। তাদের প্যান্টের কোনো কোনো জায়গা তাড়াতাড়ি ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকত। তাদের জিন্স যেন তাড়াতাড়ি ছিঁড়ে না যায় সেজন্যই ছিল এই ব্যবস্থা। ওয়ার্কওয়্যার ট্রাউজারকেই রিভাটিং করা হতো।
জ্যাকব ডেভিস প্রথম এই বিষয়টি আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে ১৮৭৩ সালে লিভাইসের তরফেও এটিকে গ্রহণ করা হয়। এই কোম্পানির নীল জিন্স সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয়।
এনএম