প্রতিবছর ক্যানসারে প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। রোগটির উপসর্গ সহজে বোঝা যায় না। অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারও এর ব্যতিক্রম নয়। পরীক্ষা করানোর চল খুব বেশি না থাকায় এই ক্যানসার যখন ধরা পড়ে, অনেকটাই ছড়িয়ে যায়। মূলত ফুসফুস আর যকৃতে এটি ছড়ায়।
মারাত্মক এই ক্যানসার সম্পর্কে আগাম সচেতনতা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের প্রধান কিছু লক্ষণ।
বিজ্ঞাপন
বদহজম: খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম হলে কমবেশি সবারই বদহজমের সমস্যায় ভোগেন। তবে তা সাময়িক। ওষুধ খাওয়ার পরেও কিছুতেই পেটখারাপ না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
খিদে চলে যাওয়া: বদহজমের সঙ্গে সঙ্গে খাওয়াদাওয়ার ইচ্ছা চলে যাওয়াও অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের লক্ষণ।
বমিভাব: সারাক্ষণ বমি বমি ভাব হলে সচেতন হোন
বিজ্ঞাপন
পেটে ব্যথা: ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, যাঁদের এই ক্যানসার ধরা পড়ে, তাঁদের বেশির ভাগই চিকিৎসকের কাছে যান পেটব্যথার সমস্যা নিয়ে। অসহ্য পেটে যন্ত্রণা এই ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ।
পিঠে ব্যথা: কিছু খেলে বা শুয়ে থাকলে যদি পিঠে ব্যথা হয় তবে সতর্ক হোন।
জন্ডিস: বার বার জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়া অগ্ন্যাশয় ক্যানসারে লক্ষণ।
ডায়রিয়া: আজেবাজে কিছু না খেয়েও যদি ঘন ঘন ডায়রিয়া হয় তবে সাবধান হোন।
কোষ্ঠকাঠিন্য: মলত্যাগের অভ্যাসে আচমকা বদল আসাও অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ। তাই হঠাৎ কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যান।
জ্বর: জ্বরের সঙ্গে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের সরাসরি যোগ না থাকলেও দীর্ঘদিন জ্বর থাকা মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের থেকে তৈরি হওয়া জটিলতা থেকে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ক্লান্তি: যেকোনো ধরনের ক্যানসারের ক্ষেত্রেই ক্লান্তিবোধ অন্যতম লক্ষণ। এটি অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারেরও লক্ষণ হতে পারে।
মানসিক অবসাদ: কোনো কারণ ছাড়াই কি প্রায় মনখারাপ লাগছে? চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের কারণে এমনটা হতে পারে।
রক্ত জমাট বাঁধা: খুব বিরল হলেও কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। অগ্ন্যাশয় ক্যানসার হলে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সঙ্গে কিছু ক্ষেত্রে পা ফোলা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
ডায়াবেটিস: খুব অল্প সংখ্যক মানুষের ক্ষেত্রে এমন হয়। আচমকা ডায়াবেটিস দেখা দেওয়াও অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
অগ্ন্যাশয় ক্যানসার সম্পর্কে সাবধান হোন। এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে সতর্ক হোন।
এনএম