বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

বিয়ের আংটি কেন অনামিকাতে পরানো হয়?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:২০ পিএম

শেয়ার করুন:

বিয়ের আংটি কেন অনামিকাতে পরানো হয়?

বিয়ের অলিখিত একটি নিয়ম আংটি পরানো। বাগদান কিংবা বিয়ের সময় অনামিকায় আংটি পরানোর রীতি পুরো বিশ্বেই রয়েছে। প্রিয় মানুষের দেওয়া আংটি আগলে রাখেন স্বামী-স্ত্রী। বিয়ের একটি বিশেষ চিহ্ন এটি। 

প্রশ্ন হচ্ছে, সবসময় হাতের অনামিকাতেই কেন বিয়ের আংটি পরানো হয়? অন্য কোনো আঙুলে কেন পরানো হয় না? এর কি কোনো বিশেষত্ব রয়েছে? এর ব্যাখ্যা কী? প্রশ্নগুলোর উত্তর জানুন- 


বিজ্ঞাপন


ring

ধারণা করা হয়, আংটি পরানোর এই রীতির সূচনা হয় পাশ্চাত্যে। প্রাচীন গ্রিক ও রোমানরা বিশ্বাস করতেন, মানুষের বাঁ হাতের অনামিকার সঙ্গে সরাসরি হৃদপিণ্ডের সংযোগ রয়েছে। তার এর নাম দেন ‘ভেনা অ্যামোরিয়াস’বা ‘ভালোবাসার ধমনি। এই বিশ্বাসের কারণে বিয়ের আংটি পরানোর জন্য এই আঙুলটি বেছে নেওয়া হতো।

আংটির আকারেও ছিল বিশেষত্ব। প্রথম দিকে বিয়ের আংটি হিসেবে কেবল গোলাকার আংটিই ব্যবহার করা হতো। মনে করা হতো, দুটি প্রেমপূর্ণ হৃদয়ের মিলন ঘটবে গোলাকার আংটির রূপ ধরবে। বৃত্তের কোনো প্রান্ত নেই। এর যাত্রা অসীম। ভালোবাসারও কোনো প্রান্ত থাকে না। এই বিষয়টিকে তুলে ধরতেই বিশেষ এই আকার দেওয়া। 

ring


বিজ্ঞাপন


যদিও ধমনিতত্ত্বের কোনো বৈজ্ঞানিক সত্যতা মেলেনি। তাই এই আঙুলের সঙ্গে হৃদয়ের সংযোগ রয়েছে এমন ধারণাও অবান্তর। 

অনামিকা নিয়ে চীনা উপকথায় আরেক ধরনের তত্ত্ব আছে। চীনারা বিশ্বাস করে, হাতের পাঁচ আঙুল আমাদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রকাশ করে। এই তত্ত্বের ছোট একটা পরীক্ষাও আছে। বলা হয়, আমাদের বুড়ো আঙুল প্রতিনিধিত্ব করে আমাদের বাবা-মাকে। তর্জনী সন্তানদের। মধ্যমা প্রতিনিধিত্ব করে নিজেকে। অনামিকায় আছে জীবনসঙ্গী। আর কনিষ্ঠায় আমাদের নাতি-নাতনিরা।

ring

এবার দুই হাতে সবগুলো আঙুলের মাথা পরস্পর স্পর্শ করুন। মধ্যমা আমাদের নিজের চিহ্ন, তাই একে ভাঁজ করে ভেতরের দিকে রাখুন যাতে মধ্যমার গাঁট দুটো লেগে থাকে। এবার এক এক করে ওপরে থাকা আঙুলগুলো আলাদা করার চেষ্টা করুন। দেখবেন, বুড়ো আঙুল আলাদা করা যায়। এর মানে হলো আমরা বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাই বা যেতে হয়। তর্জনীও আলাদা করা যায়। মানে আমাদের সন্তানেরাও সব সময় আমাদের সঙ্গে থাকে না। কনিষ্ঠাও তা-ই, নাতি-নাতনিরাও সারা জীবন পাশে থাকে না। 

>> আরও পড়ুন: প্রেম করে বিয়ে করার ৪ সুবিধা

>> আরও পড়ুন: বিয়ের আগে যেসব ভুল করা একদমই উচিত নয়

খেয়াল করলে দেখবেন, সব আঙুল আলাদা করা গেলেও মধ্যমা দুটো ভেতরের দিকে ভাঁজ করে রাখা অবস্থায় কেবল অনামিকা কখনো আলাদা করা যায় না। এর মানে হলো, সঙ্গীর সঙ্গে থাকতে হবে সারা জীবন। এ জন্যই অনামিকায় আংটি পরানো হয়।

ring

আবার ষোলো শতকে বিখ্যাত ডাচ চিকিৎসক লেভিনাস লেমনিয়াস তার বইতে লেখেন, কোনো নারী নিজের অনামিকায় থাকা সোনার আংটি ঘষতে থাকলে তার হৃদয়ে এক ধরনের মৃদু আলোড়নের সৃষ্টি হয়। যা তার দেহ ও মন সতেজ রাখতে সাহায্য করে। 

তবে এসব উপকথা বা তত্ত্বের কোনো ভিত্তি নেই। সঙ্গীর সঙ্গে ভালোবাসা আর মনের মিলই দাম্পত্য জীবনের সুখের রহস্য। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর