‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো এই বরষায়’— এমন অনন্য সৃষ্টির কারিগর আর কেউ নন কালজয়ী কথাসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা আমাদের সকলের প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ। ১৩ নভেম্বর নন্দিত এই লেখকের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে রইলো অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শুভেচ্ছা।
আয়েশা ফয়েজ একজন রত্নগর্ভা মা, সালাম জানাই তাকে এমন একজন কিংবদন্তিকে জন্ম দেবার জন্য। এমন গর্বিত মা কজন হতে পারেন? আমরা শিল্প সাহিত্যে অনেক সব্যসাচী কিংবদন্তির কথা শুনে থাকি। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় হুমায়ূন আহমেদ একজনই। যার চলে যাওয়াটা আমাদের জন্য এক বিশাল শূন্যস্থান হয়েই থেকে যাবে। এই অসাধারণ মানুষটি তার কাজ দিয়ে আপামর জনতার হৃদয়ে আজন্ম স্থান করে নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
জোছনা ও জননীর গল্প, মধ্যাহ্ন, দেয়াল, দেবী, মেঘ বলেছে যাবো যাবো, ময়ূরাক্ষী, মিসির আলী সমগ্র, এবং হিমুর মতোর এমন অসংখ্য গল্প, উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে এক ভিন্ন ধারার জন্ম দিয়েছে।
শঙ্খনীল কারাগার, আগুনের পরশমণি, নন্দিত নরকে, শ্রাবণ মেঘের দিন, দারুচিনি দ্বীপ, ঘেটু পুত্র কমলা, শ্যামল ছায়ার মতো অসংখ্য অনবদ্য কাজ রেখে গেছেন তিনি আমাদের মাঝে।
বিজ্ঞাপন
এইসব দিনরাত্রি, অয়োময়, আজ রবিবার, বহুব্রীহি, নক্ষত্রের রাতের মতো অসংখ্য সৃষ্টিগুলো আজও আমাদের মনে গেঁথে আছে।
>> আরও পড়ুন: নারীদের নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় ১০ উক্তি
‘বাকের ভাই’ এর মতো কালজয়ী চরিত্রের স্রষ্টা এই দুর্দান্ত গুণী মানুষটির নির্মিত সিনেমা কিংবা নাটকের জন্য যে অপেক্ষা, পরিবার নিয়ে আয়োজন করে বসে দেখার যে আনন্দ ছিল সেইসব দিন যেন এখনও আমাদের স্মৃতির ডায়েরিতে সযত্নে রয়ে গেছে।
এখনো শিল্প সাহিত্যের সব আলোচনায় এই মানুষটির নাম উঠে আসে। ঠিক আগের মতোই তাকে শ্রদ্ধা নিয়ে স্মরণ করা হয়। যে মানুষটি নিজে ভীষণ অগোছালো, ছন্নছাড়া, হেয়ালী জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন সেই মানুষটি ভালোবেসে আমাদের জন্য রেখে গেছেন অসাধারণ গোছানো কিছু যুগান্তকারী সৃষ্টিকর্ম।
এভাবেই যুগের পর যুগ, শতাব্দীর পর শতাব্দী ‘একজন হুমায়ূন আহমেদ’ প্রতিটি বাঙালি সত্তায় আজীবন বিরাজ করবেন।
লেখক: আবৃত্তি শিল্পী, উদ্যোক্তা, লেখিকা
এনএম