হুমায়ুন আহমেদ। একাধারে লেখক, কবি ও কথা সাহিত্যিক। গীতিকবি, সুরকার হিসেবেও তার পরিচয় মেলে। জীবনকে তিনি দেখেছেন নানাভাবে। সেসব বিষয় তার নানা লেখনিতে উঠে এসেছে।
এসব লেখায় পাঠক হুমায়ূন আহমেদকে একজন দার্শনিক হিসেবেও খুঁজে পান। নারী-পুরুষ, প্রেম-ভালোবাসা, জীবন-যাপনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন, লিখেছেন। যা হুমায়ুন ভক্তদের কাছে উক্তি হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
বিজ্ঞাপন
১৯ জুলাই জনপ্রিয় এই লেখকের ১০ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নারীদের নিয়ে তার বিখ্যাত ১০টি উক্তি জানুন।

১. ❝পুরুষ জাতির অনেক দুর্বলতার এক দুর্বলতা হচ্ছে,
তারা মনে করে মেয়ে মাত্রই তার প্রেমে পড়ার জন্যে পাগল হয়ে আছে।❞
—তোমাদের এই নগরে
২. “একালের মেয়েগুলী ফাজিলের চুড়ান্ত, সহজ কথারও তিন রকম অর্থ করে মজা পায়।”
বিজ্ঞাপন
৩. ❝মেয়ে মানুষের দুঃখ তো বলে বেড়াবার নয়; ঢেকে রাখবার।❞
—শঙ্খনীল কারাগার
৪. ❝বউ মানেই তো কোমল একটা ব্যাপার। স্বপ্ন এবং কল্পনা মেশানো ছবি।❞
—বাসর
>> আরও পড়ুন: তার গল্পের চরিত্ররা সহজ-সরল, কথা বলে অনর্গল
৫. ❝সুন্দরী মেয়েদের হাতের লেখা সুন্দর। এটা হল নিপাতনে সিদ্ধ। সুন্দরীরা মনে প্রাণে জানে তারা সুন্দর। তাদের চেষ্টাই থাকে— তাদের ঘিরে যা থাকবে সবই সুন্দর হবে।❞
—হিমুর রূপালী রাত্রি
৬. ❝হাসলে মেয়েদের যত সুন্দর লাগে হাসি চেপে রাখলে তারচে দশ গুন বেশি সুন্দর লাগে।❞
৭. “ঘুমাবার আগে আয়নায় নিজেকে দেখার বাসনা সব তরুণীর মনেই থাকে।”
৮. “মেয়েরা বিয়ের আগে কোনো পুরুষকেই স্বামী ভেবে আনন্দ পায় না। প্রেমিককেও তারা বিয়ের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত স্বামী ভাবে না।”
-কিছুক্ষণ
>> আরও পড়ুন: একজন হুমায়ূন আহমেদ এবং আমি
৯. “গুণী মানুষের প্রেমে মেয়েরা যুগে যুগে পাগল হয়েছে। কারণ প্রকৃতির সেই পুরানো খেলা, প্রকৃতি চাচ্ছে পুরুষদের গুণ যেন পরবর্তী প্রজন্মে ‘ডি এন এ’ র মাধ্যমে প্রবাহিত হয়। প্রকৃতি প্রাণপণে চাচ্ছে মানব সম্প্রদায়ের গুণগুলো যেন নষ্ট না হয়ে যায়। যেন প্রবাহিত হতে হতে এক সময় পূর্ণ বিকশিত হয়। তৈরি হয় অসাধারণ একটা মানব সম্প্রদায়।”
—রুমালী
১০. মেয়েদের আমি কখনো খুশি হলে সেই খুশি প্রকাশ করতে দেখিনি। একবার একটা মেয়ের সাথে সঙ্গে কথা হয়েছিল। সে ইন্টারমিডিয়েটে ছেলে-মেয়ে সবার মধ্যে ফার্স্ট হয়েছে। আমি বললাম, কি খুশি তো? সে ঠোঁট উল্টে বলল, উঁহু বাংলা সেকেন্ড পেপারে যা পুওর নাম্বার পেয়েছি। জানেন, মার্কশিট দেখে কেঁদেছি।
—এলেবেলে
এজেড

