পৃথিবীতে এমন অনেককিছুই ঘটে যা আমাদের অজানা। ব্যস্ততায় হয়তো এড়িয়ে যাওয়া হয় এসব। কিন্তু যখন আমরা তা জানতে পারি তখন অবাক হই। এমনই কিছু অজানা তথ্য চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. ক্লিনেক্স টিস্যুগুলি মূলত গ্যাস মাস্কের জন্য তৈরি করা হয়েছিল
বিজ্ঞাপন
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যখন তুলার ঘাটতি ছিল তখন কিম্বার্লি-ক্লার্ক একটি পাতলা ও সমতল কিছু তুলার বিকল্প হিসেবে তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন। এটি সেনাবাহিনী গ্যাস মাস্কে ফিল্টার হিসাবে ব্যবহার করতে পারতো। বিজ্ঞানীরা এই জিনিসটি নিখুঁত করার আগেই যুদ্ধটি শেষ হয়ে যায়। তাই পরবর্তীতে কোম্পানিটি এটিকে মসৃণ এবং নরম করার জন্য পুনঃবিকাশ করে এবং ক্লিনেক্সকে মুখের টিস্যু হিসাবে বাজারজাত করা শুরু করে।

২. জিন্সের ছোট পকেটটির কাজ আসলে ঘড়ি সংরক্ষণ করা
এক সময় হাত ঘড়ি নয় বরং পকেট ঘড়ি বেশি জনপ্রিয় ছিল। তখন মানুষ একটি ছোট ঘড়ি নিয়ে বাইরে যেত। সেই থেকেই ঘড়ি রাখার সুবিধার্থে জিন্সে ছোট্ট পকেটটির ডিজাইন করা হয়েছিল। এতে ঘড়ি ভালো করে সংরক্ষণ করা যেত। শুরু থেকে আসলে জিন্সের মাত্র চারটি পকেট ছিল। এই ছোট্ট পকেট, সামনে আরও দুটি এবং পিছনে একটি।
৩. কলা উল্টো হয়ে বেড়ে ওঠে
বিজ্ঞাপন
প্রযুক্তিগতভাবে, আমরা কলার উল্টো খোসা ছাড়িয়ে থাকি। স্বাভাবিকভাবেই কলা গাছের ডালপালা বাহ্যিকভাবে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এর অর্থ হলো কলার নিচের অংশগুলো আকাশের দিকে মুখ করে থাকে। যখন কলা বড় হয় তখন ফলগুলো সূর্যের দিকে ঘুরে যায় এবং প্রাকৃতিকভাবেই ফলগুলো স্বতন্ত্র বক্ররেখা তৈরি করে।

৪. মানুষই একমাত্র প্রাণী নয় যারা স্বপ্ন দেখে
গবেষণায় দেখা গেছে মানুষ বাদেও ইঁদুর স্বপ্ন দেখে। তারা তাদের স্বপ্নে সাধারণত খাবার পেতে বা গোলকধাঁধায় দৌড়ানোর দৃশ্য দেখে। বেশিরভাগ স্তন্যপায়ী প্রাণী আরইএম ঘুমের মধ্য দিয়ে যায়। অর্থাৎ, তাদের ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা মনে করেন তাদের সবার স্বপ্ন দেখার সুযোগ রয়েছে।
৫. # প্রতীকটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে হ্যাশট্যাগ বা পাউন্ড বলা হয় না
এই প্রতীকটির প্রযুক্তিগত নাম হলো অক্টোথর্প। ‘অক্টো’ এর অর্থ ‘আট’ এবং এর পয়েন্টগুলোকে বোঝায়। যদিও ‘থর্প’ কোথা থেকে এসেছে তা নিয়ে গবেষকরা একমত নয়। কেউ কেউ দাবি করেন যে এটি অলিম্পিয়ান জিম থর্পের নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছিল। আবার অন্যরা যুক্তি দেয় যে এটি কেবল একটি অর্থহীন প্রত্যয় ছিল।
এই তথ্যগুলো কী জানা ছিল আপনার?
এনএম

