সাধারণত আমরা সামনের দিকে হাঁটি। এটিই স্বাভাবিক। প্রতিটি মানুষের জন্য হাঁটা দরকারি। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটলে পেশী ভালোভাবে কাজ করে। ক্যালোরি পুড়ে।
ছেলেবেলার স্মৃতি মনে করে দেখুন তো, কখনো কি উল্টো হেঁটেছিলেন? খেলার ছলে কিংবা বন্ধুর সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিয়ে অনেকেরই পেছনের দিকে হাঁটার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ থাকতে কেবল সামনের দিকে নয়, পেছনের দিকে হাঁটারও রয়েছে অনেক উপকার। দৈনিক মাত্র ২০ মিনিট উল্টো দিকে হাঁটতে হবে। তবেই মিলবে সুফল। উপকারিতাগুলো সম্পর্কে জানুন।
পা শক্ত হয়
বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী পিছনের দিকে হাঁটলে পা শক্ত হয়। উল্টো দিকে হাঁটলে কাফ মাসলসহ শরীরের বিভিন্ন মাসল শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে পায়ের ব্যথাও কমে।
ব্যালেন্স ঠিক থাকে
বিজ্ঞাপন
অনেকেই ভাবেন, পেছন দিকে হাঁটা কষ্টকর। ব্যালেন্স হারিয়ে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। অবাক করা বিষয় হলো, এভাবে হাঁটলে আপনার শরীরের ব্যালেন্স ঠিক থাকবে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। নিয়মিত এভাবে হাঁটার অভ্যাস করলে কাজটি সহজ হবে।
ব্যথা কমে
বিভিন্ন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পেছনে হাঁটলে পায়ের ব্যথা কমে। বিশেষত, পেশির ব্যথা কমে এভাবে হাঁটলে। পা ফোলা ভাব থাকলে সেটিও কমতে পারে।
মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করতে পারে
মস্তিষ্ককে সচল রাখার কাজটি খুব একটা সহজ নয়। তবে আপনি যদি তা চান, তবে পিছনে হাঁটার অভ্যাস করুন। বেশি বয়সে এর সুফল ভোগ করতে পারবেন।
ব্যাক পেইন থেকে মুক্তি
টানা ৮-১০ ঘণ্টা বসে কাজ করার পর ব্যাক পেইনের যন্ত্রণা। তরুণ থেকে মধ্যবয়সী সবার কাছে এটি এখন স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সমস্যা। হ্যামস্ট্রিংয়ে নমনীয়তার অভাবে এমনটা হয়। একটি গবেষণা অনুযায়ী, পেছন দিকে হাঁটলে কোমর ব্যথা এবং ব্যাক পেইন থেকে মুক্তি মেলে। প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট পেছন দিকে হাঁটলে এই উপকার পাবেন।
ওজন কমায়
হ্যাঁ, ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও পেছন দিকে হাঁটা উপকারি ভূমিকা রাখে। এভাবে হাঁটলে ওজন শরীরের পেছন দিকে চলে আসে। শারীরিক ব্যালেন্সের জন্য আপনি তখন পেশীগুলো শক্তভাবে ধরে রাখেন। ফলে দ্রুত ওজন কমে।
প্রথমেই খুব বেশি হাঁটতে যাবেন। যতটুকু পারবেন, ততটুকু হাঁটবেন। ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন। যানবাহন চলাচল করে এমন রাস্তায় এভাবে হাঁটা উচিত হবে না। পার্ক বা জনসমাগম কম এমন স্থান বেছে নিন।
এনএম