ব্যাচেলর বাসা হোক কিংবা বড় পরিবার, জিম ফ্রিক হোন কিংবা সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত—খাদ্যতালিকায় ডিমের উপস্থিতি কম-বেশি থাকেই। পুষ্টিকর খাবারের অন্যতম সেরা উৎস ডিম। বেশিরভাগ বাড়িতেই সকালের নাশতায় এই খাবারটি খাওয়া হয়।
কেউ দিনে একটি ডিম খায়, কেউ দুটো। কেউ কেউ আবার রোজ ১০-১২টি ডিমের সাদা অংশ খেয়ে থাকেন। দিনে কতগুলো ডিম খাওয়া নিরাপদ? চলুন জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন

ডিম কেন উপকারী?
ডিম প্রোটিনের ভালো উৎস। আর প্রোটিন টিস্যু তৈরি এবং মেরামত করতে কার্যকরী। এটি পেশীর শক্তি বৃদ্ধি করে। বিপাকক্রিয়াকে তরান্বিত করে। ডিমে আছে ৯টি অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিডের সঠিক অনুপাত। তাই একে পারফেক্ট প্রোটিনও বলা হয়।
আরও পড়ুন-
ডিমে আছে ভিটামিন ডি, যা হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এটি ক্যালসিয়াম শোষণ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে আরও আছে ভিটামিন- এ, যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি১২, যা স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা ও রক্তকণিকা তৈরি করতেও গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আছে আয়রন, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম যা শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য অপরিহার্য।

প্রতিদিন কয়টি ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যকর?
ইট ল্যানসেট এর গবেষণা অনুযায়ী, প্রতিদিন দেড়টি ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যকর। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটে। হাড় শক্তিশালী হয়। একটি সেদ্ধ ডিমে প্রায় ৫.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ, গুড ফ্যাট এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ডিম চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়, যা শরীরের কোষের ক্ষতি হওয়া রোধ করে।
একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি ডিমের সাদা অংশ খাওয়া নিরাপদ। তিনটি বড় ডিম থেকে প্রায় ১৮ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়, যা পেশী মেরামত, বিপাক এবং লিভারের জন্যও কার্যকরী।
এনএম

