নিজের রূপ পুরোটাই মেলে ধরেছে বর্ষা। ইতোমধ্যে অবিরাম ধারায় ভিজছে পুরো দেশ। বৃষ্টি দেখতে ভালো লাগলেও এসময়ের কিছু ভোগান্তি আছে। বর্ষায় ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখতে পোহাতে হয় বাড়তি ঝক্কি। বাড়ির মেঝে হয়ে যায় চিটচিটে, বেড়ে যায় পোকামাকড়ের উৎপাত, বালিশ-চাদর হয়ে পড়ে স্যাঁতস্যাঁতে।
বর্ষায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় রান্নাঘরের সোঁদা ভিজে গন্ধ দূর করা নিয়ে। কিছু ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়ে এসময় রান্নাঘরের জিনিসপত্র টাটকা, তরতাজা রাখা যায়। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
বিজ্ঞাপন

১. একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচ ফুটতে দিন। সঙ্গে দিন কমলালেবুর খোসা। রান্না করুন বা রান্নাঘর পরিষ্কার করুন- পাশে এই মিশ্রণ ফোটাতে থাকুন। কয়েক মিনিটেই রান্নাঘর থেকে সুন্দর ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়বে। সেসঙ্গে ঘরে তাজা, টাটকা আমেজ আসবে।
২. ভেজা কাপড়, ন্যাকড়া ঝুলিকে রাখলে অনেকসময় রান্নাঘরে বোটকা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। তাই ভেজা কাপড় দুটোর বেশি রাখার চেষ্টা করবেন। এগুলোই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করতে হবে। ভেজা ন্যাকড়া রান্নাঘরে না মেলে জানলায় বা বারান্দায় অথবা ছাদে মেলতে হবে।

বিজ্ঞাপন
৩. স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় মশলা থেকে গন্ধ উবে যেতে পারে। এজন্য সপ্তাহে এক দিন অন্তত মশলার বাক্স বা শিশি খুলে এক বা দু’ঘণ্টা রোদে রাখতে হবে। রোদ একেবারেই না পাওয়া গেলে কিছুক্ষণের জন্য খোলা হাওয়ায় রাখতে পারেন।
৪. মশলা রাখার সেলফে বা সিঙ্কের পাশে একটি পাত্রে বেকিং সোডা রেখে দিন। এতে আর্দ্রতা দূর হয়ে সোঁদা গন্ধ দূর হতে পারে। দু’সপ্তাহ অন্তর সোডা বদলে নিন।

৫. সিঙ্ক থেকেও অনেকসময় খারাপ গন্ধ বের হতে পারে। লেবু আর লবণ দিয়ে ঘষে ঘষে সিঙ্ক পরিষ্কার করুন। দোকানের ক্লিনারের চেয়ে এই টোটকায় ভালো পরিষ্কার হবে।
৬. বর্ষায় অনেকসময় ফ্রিজের ভেতর থেকেও বোটকা গন্ধ হয়। তাই এসময় মাঝেমধ্যেই জিনিসপত্র নামিয়ে পুরো ফ্রিজ পরিষ্কার করা উচিত। পানি আর ভিনেগার মিশিয়ে ফ্রিজের তাকগুলো ঘষে পরিষ্কার করলে ভালো হয়। এরপর লেবুর কয়েকটি কোয়া অথবা কফির গুঁড়ো বাটিতে ভরে ফ্রিজের ভেতর রেখে দিন। এতে ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর হবে।
এনএম

