বাবার শাসনটা ছিল কড়া। সহজে মেনে নিতে পারিনি। কিন্তু তার শাসন টা যে সত্যিই মানুষ হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে সেটি বুঝতে পেরেছি পরে।
বাবা বলতেন তোমরাও বুঝবা যখন বাবা হবা। বাবার সেই কথা এখন হারে হারে টের পাচ্ছি। বাবা দিবসে শুধু বাবাদের স্মরণ করা উচিত নয়। সারা বছরই তাদেরকে স্মরণ করা এবং তাদেরকে সহযোগিতা করা প্রত্যেকটা ছেলে মেয়ের কর্তব্য।
বিজ্ঞাপন
আমার বাবা মারা গেছেন ১৯৮৭ সালে। এখন যখন নামাজ পড়ি নামাজের সময় বাবার জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করি।
আমার বাবা ছিলেন একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা জাবেদ আলী মিয়া। দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন। স্বাধীনের পর তিনি সোশ্যাল ওয়ার্ক করেছেন। ঝালকাঠি জেলার বাউল কান্দা গ্রামে আমাদের বাড়ি।
বাবার সেই সময়ের করা শাসন শাসনের কারণেই পড়ালেখায় ভালো মনোযোগ দিয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করার সুযোগ হয়েছে। এখান থেকেই পড়ালেখা শেষ করে নিতে চাই মনোযোগ দিয়েছি। জনস্বার্থে অনেক মামলা করেছি। পরিবেশ মানবাধিকার ও সমাজ নিয়ে শত শত মামলা করে মানুষের পাশে থেকেছি। অনেক মামলায় পক্ষের রায় পেয়েছি।
আজকে বাবাকে বড্ড মনে পড়ছে। ১৯৮৭ সালে বাবা মারা গেছেন। আজকে বাবা দিবস। কিন্তু বাবা নেই আমাদের মাঝে। বাবা থাকলে অনেক খুশি হতেন। আমার আজকের এই অবস্থান দেখে। বাবা যেমন মেধাবী ছিলেন তেমন যত্নশীল এবং সমাজকর্মী ছিলেন। দেশ দেশের মানুষ এবং সমাজের জন্য তিনি নিবেদিত হয়ে কাজ করেছেন। জীবনের পরোয়া না করে দেশের জন্য দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
বাবা দিবসকে কেন্দ্র করে নয়। প্রতিটা দিনই বাবাকে স্মরণ করা উচিত প্রত্যেকটা ছেলে মেয়ের। এখন বুঝতে পারছি আমারও ছেলে-মেয়ে হয়েছে আমি বাবা হয়েছি। বাবা না হলে আসলে বোঝা যায় না ছেলে মেয়ের গুরুত্ব। আমার ছেলে মেয়েরাও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ালেখা করেছে ছেলেকে বিয়ে দিয়েছি। তাকে পড়ালেখা করিয়ে মানুষ করার চেষ্টা করেছি। তার পেছনে অনেক সময় দিয়েছি বাবার যে দায়িত্ব সেটি এখনো পালন করছি।
পৃথিবীর প্রত্যেকটা বাবায় ভালো থাকুক তার জন্য তার ছেলেমেয়েরা দোয়া করুক যত্ন নিক।এমনটাই প্রত্যাশা রাখছি আজকের এই বাবা দিবসে।
লেখক: সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও চেয়ারম্যান হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ

