সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

গরুর মাংস কতটুকু খাওয়া উচিত?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ জুন ২০২৫, ১২:৫২ পিএম

শেয়ার করুন:

কতটুকু মাংস খাওয়া নিরাপদ?

বছরের অন্যদিন যাই হোক নাই হোক কোরবান ঈদের দিন মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা মানে না মন। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, হার্টের অসুখ সবকিছুর পেছনে দায়ী লাল মাংস মানে গরুর মাংস বা খাসির মাংস। তাহলে উপায়? 

একটানা মাংস খেলে নানারকম স্বাস্থ্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই ঈদে মাংস খেলেও অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া চলবে না। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের থাকতে হবে বাড়তি সাবধানতায়। 


বিজ্ঞাপন


beef1

কতটুকু মাংস খাওয়া যাবে? 

পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন খাবেন সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের উপরে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তির আদর্শ ওজন যদি ৬০ কেজি হয়, তাহলে তিনি প্রতিদিন ৬০ গ্রামের মতো প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন। কিডনি রোগসহ বিশেষ বিশেষ কিছু রোগ থাকলে এই পরিমাণ কমতে থাকবে। 

আবার নারীদের মাসিক চলাকালীন সময় ও গর্ভকালীন সময়ে এই প্রোটিনের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তবে কারোরই দিনে ৭০ গ্রামের বেশি মাংস খাওয়া উচিত না। গরুর মাংস খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা হলো সপ্তাহে দুই দিন বা সপ্তাহে মোট তিন থেকে পাঁচ বেলা। প্রতি বেলায় ঘরে রান্না করা মাংস ১৫ থেকে ২৫ গ্রাম খেতে পারেন। ২/৩ টুকরার বেশি মাংস কোনো বেলাতেই খাওয়া উচিত নয়।


বিজ্ঞাপন


beef2

প্রতি ১০০ গ্রাম লাল মাংসে প্রায় ২৩ গ্রামের মতো প্রোটিন ও ২.৫ গ্রামের মতো ফ্যাট থাকে। কিন্তু কোনো ব্যক্তি যদি হিসেব মেলাতে প্রতিদিন প্রোটিনের অন্য সব উৎস বাদ দিয়ে শুধু ২৬০ গ্রামের মতো লাল মাংস গ্রহণ করেন তার ৬০ গ্রাম প্রোটিনের চাহিদা পূরণে, এটি তার জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করবে।

কেমন মাংস খাবেন? 

মাংস কাটার সময় দৃশ্যমান চর্বি আলাদা করে ফেলে দিন। এতে চর্বির পরিমাণ কমে যাবে। মাংস পাতলা ও ছোট টুকরা করুন। 

beef3

মাংস রান্না করার সময় বেশি তেল দিয়ে ভুনা না করে অল্প তেলে রান্না করুন। উচ্চ তাপে দীর্ঘ সময় ধরে মাংস রান্না করলে এতে পলিসাইক্লিক হাইড্রোকার্বন ও হেটেরোসাইক্লিক অ্যামাইন জাতীয় ক্ষতিকর রাসায়নিক তৈরি হয়। তাই অল্প আঁচে মাংস রান্না করুন। 

আরও পড়ুন- 

মাংস রান্না করার আগে সেদ্ধ করে পানি ফেলে নিন। এতে মাংসের চর্বি অনেকটাই কমে আসে।

beef4

রান্না করা মাংস বারবার গরম করবেন না। এতে মাংসের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়, ক্ষতিকর উপাদান তৈরি হয়। কলিজা, মগজ, পায়া কম খাবেন। এসব অংশে ক্ষতিকর চর্বি অধিক মাত্রায় থাকে।

পাতে শুধু মাংস নয়, সালাদ আর সবজিও রাখুন। কোল্ড ড্রিঙ্কস, ডেজার্ট না খেয়ে মাঠা, জিরা পানি বা টকদই খান। 

কিছুটা নিয়ম মেনে পরিমিত মাত্রায় মাংস খেলে ঝুঁকির পরিমাণটা অনেকাংশেই কমানো সম্ভব হবে। 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর