সুস্থ জীবনযাপনের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার বিকল্প নেই। স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা তাই দেহের বাড়তি ওজন কমানোর মিশনে থাকেন। আর ওজন কমানোর এই যাত্রায় প্রায়ই যে কাজটি করা হয় তা হলো ওজন মাপা। কতটা ওজন কমল তা দেখতে কার না ভালো লাগে। ওজন মাপলে ডায়েট কতটা কার্যকর হচ্ছে সে বিষয়েও একটা ধারণা পাওয়া যায়।
কিন্তু এই ওজন মাপার কাজটি করতে গিয়েই বেশিরভাগ মানুষ ভুল করেন। ভুল সময়ে ওজন মাপেন তারা। ফলে আসল ওজন ধরা পড়ে না। এতে অনেকের মন খারাপ হয়, ডায়েট করা বন্ধ করে দেন। ওজন মাপার আদর্শ সময় কোনটি? কোন সময়গুলোতে ওজন মাপা উচিত নয়। জানুন এই প্রতিবেদনে-
বিজ্ঞাপন

ব্যায়ামের পর
ব্যায়ামের সময় ঘাম ঝরলে সাময়িকভাবে ওজন কমে যেতে পারে। আবার ব্যায়ামের পর পানি পান করলে বা কিছু খেলে তা ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। এগুলো মূলত পানির ওজন, সঠিক শরীরের চর্বি নয়। তাই ব্যায়াম করেই ওজন মাপা উচিত নয়।
অতিরিক্ত খাওয়ার পর
বিজ্ঞাপন
একেবারে অনেক খাবার খেলে পেট ভারী লাগে। সেসময় ওজন বেশি দেখায়। এই বাড়তি ওজন মূলত পেটে থাকা খাবার। স্থায়ী ওজন বৃদ্ধির লক্ষণ এটি নয়।

পিরিয়ড বা লুটিয়াল ফেজে
পিরিয়ডের সময় ওজন মাপা উচিত নয়। এসময় শরীরে হরমোনের প্রভাব থাকে, ফলে পানি জমে, গ্যাস ও ফোলাভাব হয়। এতে সাময়িকভাবে ওজন বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু এটি চর্বি বৃদ্ধি নয়।
ঘুমোতে যাওয়ার ঠিক আগে
সারা দিন ধরে খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা—সবকিছু শেষে রাতে ওজন বেশি দেখায়। তাই এসময় ওজন মাপবেন না।

বেশি কার্ব বা লবণ খাওয়ার পর
কার্বোহাইড্রেট ও লবণ শরীরে পানি ধরে রাখে। ফলে এসময় ওজন বাড়ে, কিন্তু তা জলীয় ওজন, চর্বি নয়।
ওজন মাপার সঠিক সময় কখন?
ফিটনেস বিশেষজ্ঞের মতে, সকালে ঘুম থেকে উঠে, টয়লেট যাওয়ার পর, বাড়তি পোশাক বাদ দিয়ে ওজন মাপা সবচেয়ে ভালো। সপ্তাহে একবার ওজন মাপলে নির্দিষ্ট একটি দিনে করুন—মধ্য সপ্তাহে (মঙ্গলবার)। এতে উইকেন্ডের খাওয়াদাওয়ার প্রভাব পড়বে না।
এনএম

